সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: এগরায় (Egra) বিস্ফোরণকাণ্ডে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে দ্রুত শুনানির আবেদন করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ঘটনায় NIA এবং CBI তদন্ত চেয়ে দায়ের করা মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি জানান শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আজই দুপুর ২টোয় শুনানির ছিল। অ্যাডভোকেট জেনারেলকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ।
হে ভগবান! এত ছিন্নভিন্ন মৃতদেহ! এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে শুভেন্দু অধিকারীর মামলায় প্রধান বিচারপতির মন্তব্য। বিস্ফোরণের ব্যাপকতা এবং মৃত্যু দেখে আদালত মনে করছে এক্ষেত্রে বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করার পর্যাপ্ত রসদ রয়েছে। সিআইডি খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে যে, বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করার মত তথ্য প্রমাণ পাচ্ছে কিনা। বিস্ফোরক আইনে মামলা হলে নিয়ম অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার NIA-র হাতে থাকবে। এগরায় বিস্ফোরণকাণ্ডে শুভেন্দু অধিকারীর মামলায় আগামী ১২ জুনের মধ্যে রাজ্যের রিপোর্ট তলব করেছে
প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ।
হে ভগবান! এত ছিন্ন ভিন্ন মৃতদেহ। এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে NIA তদন্তের দাবিতে শুভেন্দু অধিকারীর করা মামলায়, বৃহস্পতিবার এভাবেই বিস্ময় প্রকাশ করলেন প্রধান বিচারপতি। মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ, ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে এগরার খাদিকুল গ্রাম।
বিস্ফোরণের তীব্রতায় ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় ৮ জনের দেহ! রাস্তা...মাঠ থেকে পুকুর...সর্বত্র ছিটকে গিয়ে পড়ে ছিল মৃতদেহ। ছারখার হয়ে যায় কারখানা। কার্যত ধ্বংসস্তূপের চেহারা নেয়। এত বীভৎস বিস্ফোরণের পরও, মূল অভিযুক্ত ভানু বাগ ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনের কোনও মামলা রুজু করেনি পুলিশ। এখানেই প্রশ্ন উঠছে শুরু করে, তাহলে কি এগরার বিস্ফোরণকাণ্ডে ভেবেচিন্তেই বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করেনি পুলিশ? কেন্দ্র যাতে সরাসরি NIA-কে তদন্তভার দিতে না পারে, সেজন্য়ই কি এই কৌশল?
কিন্তু, বিস্ফোরণের দিনই NIA-তদন্তে রাজ্য সরকারের কোনও আপত্তি নেই বলে জানিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। এই অবস্থায়, বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, বিস্ফোরণের ব্যাপকতা এবং মৃত্যু দেখে আদালত মনে করছে, এক্ষেত্রে বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করার পর্যাপ্ত রসদ রয়েছে।
CID খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে যে, বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করার মতো তথ্য প্রমাণ পাচ্ছে কিনা। বিস্ফোরক আইনে মামলা হলে, নিয়ম অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার NIA-র হাতে থাকবে। ১২ জুনের মধ্যে রাজ্য সরকারকে রিপোর্ট দিতে হবে।