সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: নিয়োগের আশা রাজ্যে। প্রায় ৮ বছর পরে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ (Upper Primary Recruitment) শুরুর সম্ভাবনা। মামলাকারীদের সমসংখ্যক আসন ফাঁকা রেখে বাকি শূন্যপদে শুরু করা যেতে পারে নিয়োগ। শুরু করা যেতে পারে সুপারিশ পত্র দেওয়ার কাজও। জানিয়ে দিল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ (High Court on Upper Primary Recruitment)। আর এই নির্দেশের ফলেই আশার আলো চাকরিপ্রার্থীদের মনে। 


দীর্ঘ ৮ বছর ধরে আটকে রয়েছে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের বিষয়টি। মামলার গেরোয় ফেঁসে রয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা (Job Seekers on recruitment News)। যাতে শর্তসাপেক্ষে নিয়োগ করা যেতে পারে, সেই দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata High Court)দ্বারস্থ হয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। শুক্রবার সেই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে।


কী জানিয়েছে হাইকোর্ট?
বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী প্রশ্ন করেন, কিছু সংখ্যক মামলাকারীর জন্য কি প্রায় ১৩ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ আটকে রাখা সম্ভব? মামলার শুনানি চলাকালীন  বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে জানান, মামলাকারীদের সমসংখ্যক আসন ফাঁকা রেখে বাকি শূন্যপদে শুরু করা যেতে পারে নিয়োগ। শুরু করা যেতে পারে সুপারিশ পত্র দেওয়ার কাজ।


বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে জানতে চান, এই মামলায় মামলাকারীর সংখ্যা কত? স্কুল সার্ভিস কমিশনকে (School Service Commission) সেই সংখ্যা জানানোর নির্দেশ দেন তিনি। সেই সময়ে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর উদ্দেশে এই মামলাকারী চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আপনার কাছে যে মামলাগুলি আছে। সেখানে যদি সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল রাখেন তাহলে ঠিক আছে। আর আপনি যদি তার বিপক্ষে যান তাহলেই আপনাকে নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়ে যাবে।' কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী। ২৮ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২ টোয় এই মামলার পরবর্তী শুনানি।


১১ তারিখ নিয়োগে মামলার জট নিয়ে মুখ খুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee on Recruitment)। তিনি বলেন, 'সরকারি চাকরি ৫ লক্ষ আমরা চাই অ্যাপয়েন্ট করতে। কিন্তু সিপিএম আর বিজেপি নেতাদের বলুন, দয়া করে বেকার যুবক-যুবতীদের ভবিষ্যত নষ্ট না করবার জন্য। এত টিচার নেওয়া হবে, এত পোস্ট খালি আছে। আপনাদের জন্য নিতে পারছি না। মানে এই বিজেপি, সিপিএম আর কংগ্রেসের নেতাগুলোর জন্য।' সিপিএম, বিজেপি মামলা করায় নিয়োগ দেওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগও করেন তিনি। 


কিছু সংখ্যক মামলাকারীর জন্য কি প্রায় ১৩ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ আটকে রাখা সম্ভব? শুক্রবার  সেই প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীও।


আরও পড়ুন: জেলেই মৃত্যু চরম পুতিন-বিরোধী নাভালনির, কীভাবে মারা গেলেন?