সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: 'ঘনা' (ghona) কোথায়? এখনও কেন তার হদিস মিলল না?পুলিশি তদন্তে খুশি নয় কলকাতা হাইকোর্ট (high court)। বিচারপতি শম্পা সরকারের প্রশ্ন, কেন  'প্রিভেনশন অফ অ্যানিমাল ক্রুয়েলটি অ্যাক্টে' (prevention of animal cruelty act) অভিযোগ রুজু হল না? সঙ্গে নির্দেশ, তদন্তকারী অফিসারের (IO) বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারকে ব্যবস্থা নিতে হবে।


কে তুমি 'ঘনা'?


কল্যাণী আদালত চত্বরে সেই ছোটবেলা থেকেই বেড়ে উঠেছিল সে। আদালতে যাঁদের নিয়মিত যাতায়াত, তাঁদের পায়ে পায়ে ঘুরে বেড়াত 'ঘনা।' আইনজীবী থেকে বিচারক, সকলেরই মায়া পড়ে যায় শুয়োর ছানাটির (missing pig) উপর। অবশ্য কালক্রমে সে ছানাই হৃষ্টপুষ্ট হয়ে ওঠে। কিন্তু তাতে আদর কমেনি। সেই ঘনা কিনা গায়েব। শুধু গায়েব নয়। অভিযোগ কেউ বা কারা অপরহণ করে নিয়ে গিয়েছে তাকে।


অপহরণ যে ভাবে...


গত ২৫ মার্চ ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ আদালত চত্বরে একটি সাদা গাড়ি ঢুকেছিল। সেখান থেকেই চার জন নেমে এসে ঘনাকে নিয়ে উধাও হয়ে যায়। আদালতের সিসিটিভিতে সেই ছবি ধরা পড়েছে বলে খবর। ঘনার খোঁজে কল্যাণী থানায় অভিযোগ করেন আইনজীবী অনুমিতা ভদ্র। মামলাও হয় কল্যাণী এসিজেএম আদালতে। বিচারক নির্দেশ দেন যেভাবেই হোক ঘনাকে ফিরিয়ে আনতে হবে। কিন্তু হদিস না মেলায় মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে।


কী বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট?


কল্যাণী থানার তদন্তে হাইকোর্ট যে মোটে সন্তুষ্ট নয়, সেটা আজ স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি শম্পা সরকার। তাঁর নির্দেশ, রানাঘাটের পুলিশ সুপারের নজরদারিতে তদন্ত চালাতে হবে। তদন্ত করে অবিলম্বে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সঙ্গে প্রশ্ন,'ঘনাকে যারা অপহরণ করেছে, তাদের এখনও চিহ্নিত করা হয়নি কেন?' কেনই বা প্রিভেনশন অফ অ্যানিম্যাল অ্যাক্টে অভিযোগ নয়, প্রশ্ন হাইকোর্টের। তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি শম্পা সরকার। সঙ্গে বলা হয়েছে, কল্যাণী আদালতের উপযুক্ত নিরাপত্তার জন্য পুলিশকে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা করতে হবে।


আরও পড়ুন:বিজেপির পাখির চোখ দমদম, লোকসভা কেন্দ্রের দায়িত্বে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া