সৌভিক মজুমদার ও সুদীপ চক্রবর্তী, কলকাতা: ইসলামপুরে সরকারি গোডাউন থেকে বই চুরির ঘটনার নেপথ্যে বড়সড় চক্র থাকতে পারে বলে সন্দেহপ্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আর আদালতের এই পর্যবেক্ষণকে হাতিয়ার করেই তৃণমূল কংগ্রেসকে বিঁধল বিরোধীরা। দল-মত-নির্বিশেষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে শাসক শিবির।


কয়লা চুরি, গরু চুরি, চাকরি চুরি, রেশন চুরির অভিযোগের পর, এবার উত্তর দিনাজপুরের সরকারি গোডাউন থেকে বই চুরির অভিযোগ ঘিরে শোরগোল। ২০২২ সালের ওই ঘটনার জল গড়াল আদালতে। সূত্রের খবর, ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে ইসলামপুর সার্কেলের বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসের গোডাউন থেকে প্রায় ২ লক্ষ বই চুরি হয়ে যায়। যার বাজার মূল্য ৩ কোটি টাকার ওপর বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। এই ঘটনায় ২ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হলেও জামিন পেয়ে যান তাঁরা।


সম্প্রতি এই ঘটনায় উপযুক্ত তদন্ত চেয়ে, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। মাত্র দুজনের পক্ষে এই কাজ করা সম্ভব নয়। পিছনে বড় চক্র থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণকে হাতিয়ার করে, বই চুরির ঘটনায় এবার তৃণমূল কংগ্রেস ঘনিষ্ঠ আমলাদের দিকে আঙুল তুলেছে বিরোধীরা।                                                             


বিজেপির জেলা সহ সভাপতি সুরজিৎ সেন বলেন, "তৃণমূল আমলে সব চুরি হয়। দ্যাখো তৃণমূল পন্থী আমলা ও নেতা-মন্ত্রীরাই জড়িত।'' জেলা ABTA-র সদস্য রঘুপতি মুখোপাধ্যায় বলেন, "এই ঘটনা যখন ২০২২ সালে হয়, তখন আন্দোলন করেছিলাম। এখন জনস্বার্থ মামলায় বিষয়টা প্রকাশ্যে এসেছে। বড় চক্র এর পিছনে আছে।'' পাল্টা তৃণমূলের বক্তব্য়, আইন আইনের পথে চলবে। ইসলামপুর ব্লক সভাপতি জাকির হোসেন বলছেন, "নেত্রীর নির্দেশ আছে যদি কেউ দুর্নীতিতে জড়িয়ে থাকে, দল-মত নির্বিশেষ ব্যবস্থা হবে। পুলিশ পুলিশের কাজ করছে।'' তিন সপ্তাহের মধ্যে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট


আরও পড়ুন: Sealdah Division Fencing Problem: স্থানীয়দের বাধার জের, শিয়ালদা ডিভিশনে থমকে ফেন্সিংয়ের কাজ; কীভাবে সমস্যার সমাধান