কলকাতা: অপারেশন সিঁদুর নিয়ে পোস্ট করতে গিয়ে নোংরা মন্তব্য করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন ইনস্টাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সার শর্মিষ্ঠা পানোলি। তবে সামাজিক মাধ্যমে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ধৃত শর্মিষ্ঠা পানোলির জামিন মঞ্জুর হল আদালতে। বৃহস্পতিবার ধৃত আইনের ছাত্রীর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্ট। গুড়গাঁও থেকে গ্রেফতার হওয়া শর্মিষ্ঠা পানোলির অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন মঞ্জুর হল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন ১০ হাজার টাকার বন্ডে জামিন মঞ্জুর করল আদালত। এর পাশাপাশি আদালতের তরফে এও বলা হয়েছে যে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে। 

কলকাতা হাইকোর্টের তরফে বলা হয়, 'আদালতের অনুমতি ছাড়া দেশ ছাড়তে পারবেন না শর্মিষ্ঠা'। শিক্ষাগত কারণে দেশের বাইরে যেতে হলে নিম্ন আদালতকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে, নির্দেশ আদালতের। শর্মিষ্ঠাকে পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তা দিতে হবে, নির্দেশ আদালতের। হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের কোনও প্রয়োজন নেই, পর্যবেক্ষণ আদালতের। 'যে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল সেটা যান্ত্রিকভাবে করা হয়েছিল। সেখানে শুধুমাত্র গ্রেফতার করার অধিকার দেওয়া হয়েছিল, গ্রেফতার করতে হবে বলা হয়নি'। ধর্তব্যযোগ্য অপরাধ আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার ছিল, মন্তব্য বিচারপতির। নির্দিষ্টভাবে কী মন্তব্য করেছিলেন শর্মিষ্ঠা সেটা অভিযোগপত্রে বলা নেই, মন্তব্য বিচারপতির। যখন নোটিস দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছিল তখন শর্মিষ্ঠা কলকাতায় ছিলেন না, পর্যবেক্ষণ বিচারপতির। 

উল্লেখ্য, ১৪ মে সোশাল মিডিয়ায় বিদ্বেষমূলক পোস্ট করেন তিনি। ১৫ মে তাঁর বিরুদ্ধে গার্ডেনরিচ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপরেই মহিলাকে তলব করে তাঁর কলকাতার বাড়িতে একাধিক নোটিস পাঠায় পুলিশ। হাজিরা এড়াতে বেপাত্তা হয়ে যান ধৃত মহিলা। অবশেষে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এরপর জামিন চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কলকাতার আনন্দপুরের বাসিন্দা ধৃত শর্মিষ্ঠা পানোলি। সোশাল মিডিয়ায় বিদ্বেষমূলক পোস্ট করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টার অভিযোগে গুরগাঁও থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে গার্ডেনরিচ থানা।

এর আগে শুনানিতে শর্মিষ্ঠা পানোলির আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতির মন্তব্য ছিল, 'আমাদের বাকস্বাধীনতা আছে। কিন্তু তার মানে এটা নয় যে আমরা যা ইচ্ছা বলতে পারি। আমাদের দেশ বৈচিত্র্যে পূর্ণ। আপনার এই বক্তব্যের কারণে আমাদের দেশের নাগরিকদের একাংশের ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে। যার ফলে এই চারটি FIR  দায়ের হয়েছে।'