কলকাতা: নবান্ন অভিযানে গুলি চালানো, এমনকী, খুনেরও ষড়যন্ত্র রয়েছে- সেই 'ইনপুটের' ভিত্তিতে তৎপর হয়েছিল পুলিশ। এমনকী নবান্ন অভিযানের আগের রাতে হাওড়া স্টেশন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ৪ ছাত্রকে। যদিও পরের দিনই মুক্তি দিয়ে দেওয়া হয়েছিল।এই ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় চার ছাত্রের পরিবার। সেই মামলার শুনানি এদিন শুরু হয় বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের এজলাসে।  যা নিয়ে হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়তে হল পুলিশকে। 


এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ প্রশ্ন তোলেন পুলিশি তৎপরতা নিয়ে। বিচারপতি জানতে চান, 'কীসের ভিত্তিতে গ্রেফতার করল পুলিশ? কীসের ভিত্তিতেই বা ছাড়া হল?' এরপরই বিচারপতি ভরদ্বাজ বলেন, 'এভাবে চললে তো পুলিশ যাকে খুশি গ্রেফতার করবে,২৪ ঘণ্টা পর ছেড়ে দেবে'।                                          


কাল মামলার যাবতীয় নথি পেশ করতে রাজ্যকে নির্দেশ বিচারপতি ভরদ্বাজের। এদিকে বিচারপতির এজলাসে রাজ্যের তরফে বলা হয়, পুলিশের কাছে খবর ছিল এই ৪ জন গন্ডগোল করতে পারে, তাই গ্রেফতার। পাল্টা প্রশ্ন করেন বিচারপতিও। তিনি বলেন, 'পুলিশ কোথা থেকে এদের বিরুদ্ধে তথ্য পেয়েছিল? কী অভিযোগ পেয়েছিল পুলিশ? অতীতে এঁদের বিরুদ্ধে অপরাধের কোনও নিদর্শন আছে? যদি গুরুতর অভিযোগ থেকে থাকে, তবে ছেড়ে দিল কেন? যদি পুলিশের কাছে তথ্য বিশ্বাসযোগ্য না হয় তাহে ২৪ ঘণ্টা আটকেই বা রাখা হল কেন?', রাজ্যকে প্রশ্ন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের। 


আরও পড়ুন, 'পুজোর অনুদান তো ফেরাচ্ছেন, বেতন, বোনাস নেবেন তো?' সরকারি কর্মচারীদের নিশানা কাঞ্চন মল্লিকের


অন্যদিকে,  সায়ন লাহিড়ির মুক্তির বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে জোর থাপ্পড় খেল রাজ্য। রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দিল সর্বোচ্চ আদালত। হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। নবান্ন অভিযানের দিন এবিপি আনন্দের স্টুডিও থেকে বেরোতেই সায়নকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার দুপুর ২টোর মধ্যে সায়নকে মুক্তির নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।  পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের আহ্বায়ক সায়ন লাহিড়ির মুক্তির বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য। 



আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে