সৌভিক মজুমদার,কলকাতা: নবম-দশমের মেধাতালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও দুজনের চাকরি না হওয়ার অভিযোগ। সালমা সুলতানা এবং রিক্তা চট্টোপাধ্যায়কে নিয়োগের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এক সপ্তাহের মধ্যে সুপারিশপত্র দিয়ে চাকরি দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। 


নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগে বেনিয়িমের অভিযোগ।মেধাতালিকায় নাম থাকার সত্ত্বেও দুই চাকরিপ্রার্থী সালমা সুলতানা এবং রিক্তা চট্টোপাধ্যায় চাকরি পাননি।এই ২ চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন,কমিশনকে এক সপ্তাহের মধ্যে উভয়কেই সুপারিশপত্র দিয়ে চাকরি দিতে হবে। কাউন্সেলিং ছাড়া ইংরেজি শিক্ষক পদে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। ২০১৬ সালে SLST-তে নিয়োগের দাবিতে মামলা করেছিলেন সুলতানা।


তাঁর দাবি ছিল, মেধাতালিকায় ২০৮ র‍্যাঙ্ক হওয়া সত্ত্বেও তিনি চাকরি পাননি। আদালত কমিশনকে কাউন্সেলিং করে চাকরি দিতে বলে। সেই মতো কমিশন কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করে। অভিযোগ, SLST-তে উত্তীর্ণ সালমা সুলতানা ইন্টারভিউ দেন। এরপর, কাউন্সেলিং জন্য সালমাকে ডাকা হয়নি। অথচ তাঁর রোল নম্বরে সুপারিশ এবং নিয়োগপত্র প্রদান হয়েছে। SMS করে যোগদানের কথা বলা হয়। এর ভিত্তিতে রিপোর্ট চায় আদালত।


এদিন রিপোর্ট দিয়ে কমিশন জানায়,সালমা ও রিক্তার মতো ২০০-র বেশি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের SMS-এর মাধ্যমে চাকরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদের মধ্যে ৫০-এর অধিক শিক্ষকদের নিয়োগের হার্ড কপিও কমিশন দিতে পারেনি। এদিন, আদালতে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয় যে,সালমা সুলতানার আবেদন করা স্কুলে শূন্যপদ রয়েছে।এরপরই বিচারপতি দুজনকেই নিয়োগপত্র দেওয়ার নির্দেশ দেন।


অপরদিকে, জুলাই মাসে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগের মামলাতেও একটি ইস্যু সামনে আসে। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগের মামলায় (Bengal Recrtuitment Scam) ওমএমআর শিট (OMR Sheet)  দেখতে চেয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত (Supeme Court)। আর তারপরে সুপ্রিম নির্দেশের পর স্কুল সার্ভিস কমিশনের রিপোর্টে কার্যত ভয়াবহ তথ্য উঠে আসে। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ৯০৭ শিক্ষকের বিরুদ্ধে উত্তরপত্রে কারচুপি করার অভিযোগ ওঠে। মূলত আদালতের নির্দেশেই সেই তালিকা সামনে এনেছিল এসএসসি।


আরও পড়ুন, 'পুলিশ প্রশাসন সব জানত..', বেআইনি বাজির ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া দিলীপের


মূলত কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় অভিযুক্তদের নামের তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এবং সঙ্গে ওএমআর শিট অর্থাৎ উত্তরপত্রও জমা দিতে বলেছিলেন। এরপর ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশে অন্তবর্তী নির্দেশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। আর সুপ্রিম নির্দেশের পরেই ৯০৭ জনের নাম ও রোল নম্বার প্রকাশ্য়ে এনেছিল এসএসসি।