সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: নিখোঁজ ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের খোঁজে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের। নিউ আলিপুরের বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র তৃষিত বিশ্বাসকে খুঁজতে সিবিআই। সিআইডির হাত থেকে মামলা নিতে সিবিআইকে নির্দেশ বিচারপতির। 


সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের: "২০১৯-এ বাড়ি থেকে নিখোঁজ তৃষিত বিশ্বাস, ৮ মাস পরে এফআইআর''। ৮ মাস পরে এফআইআর দায়ের করে নিউ আলিপুর থানা, দাবি আইনজীবীর। ‘একজনকে গ্রেফতার করলেও পরে জামিন পায় অভিযুক্ত, দাবি আইনজীবীর। পুলিশের মামলা ‘ক্লোজ’ হয়েছে আগেই। এরপর ছেলেকে খুঁজতে হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয় পরিবার। ‘হদিশ পাওয়ার কথা বলে ফোন, বাড়ির ঠিকানায় বেনামি চিঠি’। ছেলের নিখোঁজ-রহস্যে বাংলাদেশি যোগ থাকার সন্দেহ পরিবারের। ২ দেশের মধ্যে সমন্বয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। 


সূত্রের খবর, পরিবারের কাছে একটি ফোন এবং চিঠি আসে। যার সূত্র ধরে তাঁরা জানতে পেরেছেন, এই নিখোঁজ হওয়ার পিছনে কোনও বাংলাদেশি যোগ থাকতে পারে বা বাংলাদেশের কোনও চক্র কাজ করে থাকতে পারে। এই আশঙ্কা পরিবারের তরফে প্রকাশ করা হয়। এর আগে বাংলাদেশ প্রশাসনের সঙ্গেও তাঁরা যোগাযোগ করে বলে পরিবার সূত্রে খবর। সেখান থেকে বলা হয়, ওই ফোন নম্বরের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনও যোগাযোগ নেই। ফলে এই মামলার জট যাতে আর না বাড়ে এবং দুই দেশের মধ্যে সমন্বয় রক্ষা করার জন্য সিবিআইকে মামলার ভার দেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া তৃষিত বিশ্বাস নিখোঁজ হয়ে যায়। ঘটনার ৮ মাস পরে এফআইআর দায়ের করে নিউ আলিপুর থানা। এরপর মামলার ভার পুলিশ থেকে সিআইডি-র কাছে যায়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ ছাত্র কোথায় তা জানা যায়নি। 


কলকাতা হাইকোর্টে মামলা যখন বিচারাধীন, সেই সময় নিখোঁজ ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের পরিবারের কাছে একটি ফোন আসে। সূত্রের খবর, ওই ফোনে দাবি করা হয়, তৃষিত কোথায় আছেন, তার খোঁজ তাঁরা দিতে পারবেন। এরপরই পরিবার একটি চিঠি পায়, সেখানেও একই ধরনের সূত্র দেওয়া হয়। পরিবার তদন্তকারী অফিসারের সাহায্যে বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দেশের প্রশাসনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, এর সঙ্গে বাংলাদেশের কোনও যোগ নেই। 


আরও পড়ুন: Partha Chatterjee:ফের জামিনের আর্জি খারিজ, জেলেই কাটাতে হবে পার্থ-সহ ৭ অভিযুক্তকে