কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলার ইস্যুতে উত্তাল বিধানসভা। এদিন শান্তনু সেন (Santanu Sen) বলেন, মহামান্য আদালতের কাছে প্রস্তাব রাখা হয়েছে যে, আপনারাই বলুন, যাদের চাকরি করার যোগ্যতা নেই, তাঁদেরকে বাদ দিয়ে, মেরিট লিস্ট থেকে চাকরিতে নেব।  মহামান্য আদালত (Court) এবিষয়ে কোনও নির্দেশ দেয়নি।  শুভেন্দুবাবু (Suvendu Adhikari) কি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারবেন, যদি তাঁদেরকে চাকরি থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়, বিকাশ ভট্টাচার্যের মতো আদালতে, আইনজীবীদের দাঁড়িয়ে আবার তাঁদের হয়ে আইনি লড়াই করবেন না। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, 'আসলে এরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উন্নয়নের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে পেরে উঠছেন না।  তাই সবসময় শান্ত পরিবেশকে, অশান্ত করা, রাজনৈতিক ফায়দা তোলা', বলেই গেরুয়াশিবিরকে এদিন নিশানা করেন তিনি।  


প্রসঙ্গত, স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির আঁচ বিধানসভায়। রাজ্য মন্ত্রিসভায় কীভাবে অতিরিক্ত পদ সৃষ্টির অনুমোদন পেল? সেই প্রশ্ন তুলে বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনে বিজেপি। কিন্তু, তা খারিজ হয়ে যাওয়ায় বিক্ষোভে সোচ্চার হন বিজেপি বিধায়করা। এদিকে, আজই বিধানসভার উল্লেখ পর্বে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করবেন বলে নাম দিয়েছিলেন ৪ বিজেপি বিধায়ক। তাঁরা হলেন, হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায়, গোপাল সাহা, নিখিলরঞ্জন দে এবং পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু, স্পিকার জানিয়েছেন, আজকের উল্লেখ পর্বে তাঁদের নাম ডাকা হলেও, একজনও উত্তর দেননি। এই ঘটনায় বিধানসভার অধ্যক্ষের চেয়ারের অমর্যাদা হয়েছে বলে অভিযোগ করে বিজেপি বিধায়ক হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায়, গোপাল সাহা, নিখিলরঞ্জন দে এবং পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের নাম আগামী দু’দিন বিধানসভার উল্লেখ পর্ব থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্পিকার। এরপর গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে বিধানসভার অধ্যক্ষের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে, শুভেন্দু অধিকারী বলেন, আগামী বাজেট অধিবেশনে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা যায় কিনা, সেই বিষয়টি তাঁরা খতিয়ে দেখছেন।


আরও পড়ুন, 'দিদি ভেবেছিলেন, পার্থকে বলি দিয়ে, ভাইপোকে বাঁচিয়ে দেবেন', বললেন সুকান্ত


শিক্ষায় দুর্নীতি ও অতিরিক্ত পদ সৃষ্টির অভিযোগে বিধানসভায় বিজেপির মুলতুবি প্রস্তাব খারিজ অধ্যক্ষের। যার প্রতিবাদে বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি। খারিজের প্রতিবাদ করে ওয়াকআউট বিজেপি বিধায়কদের। বিধানসভার বাইরে এসে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। এদিন নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গোটা মন্ত্রিসভাকে (Cabinet) জেলে পাঠানোর দাবি জানালেন শুভেন্দু অধিকারী । এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'চোরেদের ক্যাবিনেট। অর্পিতার ক্যাবিনেট। অপা সিন্ডিকেটের ক্যাবিনেট। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে যাঁরা অযোগ্যদের চাকরির সুপারিশ করেছেন তাঁদের জেল চাই। ক্যাবিনেটের দায়বদ্ধতা হচ্ছে বিধানসভা। অধ্যক্ষ বললেন বিচারের অধীনে, আমরা করতে পারব না।' তিনি আরও বলেন, 'এটা একটা বড় দুর্নীতি। একটা ক্যাবিনেট মেধাকে বাদ দিয়ে অযোগ্যদের সুপারিশ করছে। গোটা মন্ত্রিসভার জেলে যাওয়া উচিত। ক্যাবিনেট দায়বদ্ধ বিধানসভায়। সেই বিধানসভায় বলার সুযোগ দিচ্ছে না। এই অযোগ্যদের নিয়োগের  সুপারিশ কারা করল? আমরা পুরো ক্যাবিনেটের জেল চাই।'