সৌভিক মজুমদার, বিটন চক্রবর্তী, কলকাতা: চলতি বছরের ১ এপ্রিল ২৫ সেকেন্ডের নিখুঁত অপারেশন। পূর্ব বর্ধমানের (Purba Burdwan) শক্তিগড়ে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে কয়লা মাফিয়া রাজু ঝাঁকে (Raju Jha) খুন করে আততায়ীরা। এই ঘটনায় এবার, সিবিআইয়ের (CBI) হাতে তদন্তভার তুলে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) আরও একবার রাজ্য় পুলিশে অনাস্থা হাইকোর্টের শুধু সিবিআই (CBI) -এর হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়াই নয়, রাজু ঝা খুনের তদন্তের সময়সীমাও বেধে দিল আদালত।  ৪ মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে হাইকোর্টে পেশ করতে হবে রিপোর্ট দ্রুত রাজ্য সরকারকে নথি হস্তান্তরের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Rajasekhar Mantha)।

  


এ দিন বিচারপতি বলেন, খুনের সময় গাড়িতে থাকা আরেক ব্যক্তি আবদুল লতিফ কয়লা পাচারে অভিযুক্ত। তাঁর নাম সিবিআইয়ের (CBI) চার্জশিটেও রয়েছে। তাই আদালত মনে করছে এই খুন ও কয়লা পাচার একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তাই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। চার দশক ধরে কয়লা পাচার একটা ইস্যু, তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে না গেলে সমস্যা হতে পারে।


কেন খুন কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা?  খুনের নেপথ্য়ে কারা? কবে জানা যাবে প্রকৃত কারণ? CBI তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের  (Calcutta High Court)। এর আগে রাজু ঝা খুনে ১২ সদস্যের সিট গঠন করা হয়।  দুর্গাপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাঁটির বাসিন্দা অভিজিৎ মণ্ডলকে।  এরপর, গত মাসে আরও ২ জনকে গ্রেফতার করে সিট । খুনের সময় রাজু ঝার সঙ্গে গাড়িতে ছিলেন কয়লা পাচারে অভিযুক্ত আব্দুল লতিফ। খুনের পর তাঁকে সেখান থেকে চলে যেতে দেখা যায়! এখন প্রশ্ন হল খুনের নেপথ্য়ে কী সমীকরণ, সেটা কবে বার করতে পারবে সিবিআই।


খবর দিল কে?
নিখুঁত ছকে বাঁধা অপারেশন! এখানেই প্রশ্ন উঠছে, গোটা এই অপারেশনের 'টিপার' কে? রাজু ঝা যে পয়লা এপ্রিল ওই পথে, ওই সময় কলকাতা যাবেন কিলার গ্য়াং জানল কী করে? তাহলে কি রাজু ঝা-র বিশ্বস্তদের মধ্যেই কি কেউ খবর দিয়েছিলেন? পুলিশ সূত্রে খবর, ৩১ মার্চ নিজের হোটেল ফরচুনে একটি পার্টি দেন রাজু ঝা। সেখানে ঘনিষ্ঠদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তিনি। পার্টিতে ছিলেন সঙ্গী ব্রতীন মুখোপাধ্য়ায়ও। প্রশ্ন অনেক। উত্তর মিলবে কবে? নাকি কয়লার কালো অন্ধকারেই মিশে যাবে কয়লা মাফিয়ার হত্যা রহস্য।