মায়ামি : কাতার বিশ্বকাপে সাফল্যের পর আশায় বুক বেঁধেছিলেন ভক্তরা। শুধু কি ফ্যানরা, সহ-খেলোয়াড় এবং কোচরাও আশাবাদী ছিলেন যে, হয়তো পরবর্তীকালে মানসিকতার পরিবর্তন হবে মেসির। কিন্তু, না ! আর্জেন্তিনার জার্সি গায়ে পরের বিশ্বকাপে আর দেখা যাবে না এই কিংবদন্তিকে। এমনটাই নিশ্চিত করলেন লিওনেল মেসি (Lionel Messi)। ইন্টার মায়ামিতে স্থানান্তরের পর মেসি পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, তিনি ইতিমধ্যে তাঁর শেষ বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট খেলে ফেলেছেন। মঙ্গলবার তিনি জানান, ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপে আর্জেন্তিনার জার্সি গায়ে ফের একবার ময়দানে নামার তাঁর কোনও পরিকল্পনা নেই।


গত ডিসেম্বরে দীর্ঘদিনের খরা কাটিয়ে দেশকে বিশ্বকাপের মুখ দেখিয়েছেন। ১৯৮৬ সালের পর তাঁর নেতৃত্বে আর্জেন্তিনা বিশ্বমঞ্চে নিজেদের সেরাটা উজার করে দিয়ে ঘরে ঢুকিয়েছে তৃতীয় বিশ্বকাপ ট্রফি। ১৯৮৬-র জয়ে অনবদ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন দিয়েগো মারাদোনা। তবে, আর্জেন্তিনা প্রথমবার বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছিল ১৯৭৮ সালে। মেসি আগেই উল্লেখ করে রেখেছিলেন, কাতার বিশ্বকাপই তাঁর ফাইনাল টুর্নামেন্ট হতে চলেছে। কিন্তু, কোথাও একটা ক্ষীণ আশা নিয়ে বসেছিলেন ভক্তরা। দেশের হয়ে সেরা এই গোলদাতাকে ২০২৬-এ দেখা যাবে । আমেরিকা, মেক্সিকো ও কানাডায় বসতে চলেছে পরের বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতা।


Efe News Agency একটি রিপোর্টে জানিয়েছে, বিশ্বকাপ নিয়ে মেসি তাঁর পদক্ষেপের কথা চিনের স্পোর্টস আউটলেট Titan Sportsকে জানিয়েছে। যখন তাঁকে ২০২৬ বিশ্বকাপের কথা জিজ্ঞাসা করা হয়, মেসি বলেন, আমার মনে হয় না। (কাতার) আমার শেষ বিশ্বকাপ ছিল। দেখব, কেমন সামগ্রিক বিষয়গুলো যাচ্ছে। কিন্তু, এখন যেমনটা চলছে, তাতে আমি পরের বিশ্বকাপে খেলতে যাব না। 


সাত বারের Ballon d'Or জয়ী মেসি ২০২২ সালে আর্জেন্তিনার বিশ্বকাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। সাত সাতটি গোল করেন তিনি। সাতটির মধ্যে ২টি গোল এসেছে ফাইনালে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে। তাঁর এই প্রচেষ্টাকে গোল্ডেন বল দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। তিনিই ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় যিনি বিশ্বকাপের ইতিহাসে ২ বার গোল্ডেন বল জিতেছেন।


২০১৪ সালেও তিনি এই পুরস্কার পেয়েছিলেন। সেবার রানার-আপে শেষ করে আর্জেন্তিনা।


২০২১ সালে রেকর্ড অর্থে বার্সেলোনার সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছেদ করে প্যারিস সাঁ জাঁ ক্লাবে নাম লিখিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। এবারের চুক্তির শেষে যা বাড়ানোর কথাও ছিল প্রাথমিক চুক্তিতে। কিন্তু গত কয়েকমাসে ঘটনাক্রম যেদিকে এগোচ্ছিল, তাতে ফুটবলপ্রেমীরা বুঝতেই পারছিলেন, মেসির পিএসজি ছাড়া সময়ের অপেক্ষা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সেই মতই এই মাসের গোঁড়াতেই লিওনেল মেসি (Lionel Messi) ও প্যারিস সাঁ জাঁ-র সম্পর্ক শেষ হয়েছে।