কলকাতা : ৩ মাসের মধ্যে কর্মীদের বকেয়া ডিএ (Dearness Allowance) মেটাতে হবে। রাজ্যের আবেদন খারিজ করে এই রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মামলার রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি হরিশ টন্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তর ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, ডিএ কর্মীদের মৌলিক ও আইনত অধিকার। মহার্ঘভাতা নিয়ে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল বা স্যাট যে রায় দিয়েছে তা ৩ মাসের মধ্যে কার্যকর করতে হবে।


আজ ডিএ মামলার রায় ঘোষণা হয় হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ টন্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তর ডিভিশন বেঞ্চে। রাজ্য সরকারি কর্মীদের পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী বকেয়া ৩২ শতাংশ মহার্ঘ ভাতার দাবিতে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে ২০১৬ সালে মামলা হয়। মামলা করে কর্মচারীদের সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্মেন্ট এমপ্লয়িজ। এ নিয়ে দীর্ঘ আইনি লড়াই চলে। শেষপর্যন্ত স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল বকেয়া মিটিয়ে দিতে বলে। এই রায়কেই চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যায় রাজ্য সরকার। সেই মামলাতেই আজ রায় দেয় ।


এনিয়ে উচ্ছ্বসিত রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। তাঁদের দীর্ঘদিনের আইনি লড়াই কোথাও একটা আইনি দিশা পেল, এমনই বলছে বিভিন্ন মহল। এনিয়ে মামলাকারীদের তরফে মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, "এটা শুধু কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্মেন্ট এমপ্লয়িজের জয় নয়, এই জয় সমগ্র কর্মচারী সমাজের। ২০১৯ সালের ২৬ জুলাই বিচারপতি রঞ্জিত কুমার বাগ ও সুরেশ কুমার দাস যে রায় দিয়েছিল, সেই রায়-ই আজ হাইকোর্ট বহাল রাখল। তিন মাসের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ছয় মাসের মধ্যে ডিএ দিয়ে দিতে হবে। আজ সেই রায় বহাল রেখে হাইকোর্ট বলল, তিন মাসের মধ্য়ে স্যাটের রায় ইমপ্লিমেন্ট করতে হবে। অল ইন্ডিয়া কনজিুমার প্রাইস ইনডেক্স অনুসারে ডিএ-র ক্যালকুলেশন করতে হবে। বর্তমান সরকার এসে ডিএটাকে সম্পূর্ণভাবে গুলিয়ে দিয়েছে। তাই আমরা ঠিকমতো ডিএ পাই না। এই রায়ে আমরা খুশি। 


সংগঠনের তরফে প্রেসিডেন্ট শ্যামল মিত্র বলেন, ফান্ড নেই এই যুক্তিতে আর ডিএ আটকে রাখা যাবে না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন, দয়া করে এটাকে প্রেস্টিজ ফাইট করবেন না। রাজ্য সরকারি কর্মীরা আপনার শত্রু নন। আপনি তাঁদের অভিভাবক। দয়া করে, ২০০৯-এর জুলাই মাস থেকে যে বকেয়া আছে কেন্দ্রীয় হারে তা দেওয়ার ব্যবস্থা করুন।