কলকাতা: আসফাকুল্লা নাইয়ার বাড়িতে তল্লাশি, হাজিরার নোটিস, কোর্টে প্রশ্নের মুখে পুলিশ। আর জি করের জুনিয়র চিকিৎসকের বিরুদ্ধে FIR নিয়েই প্রশ্ন হাইকোর্টের। 'অভিযোগকারী রোগী নন, থানায় গেলেন আর মামলা শুরু করে দিলেন? বহু ক্ষেত্রে তো জেনারেল ডায়েরি করেই ফেলে রাখেন!' জুনিয়র চিকিৎসকের বাড়িতে তল্লাশি, তলব নিয়ে বিস্মিত খোদ আদালত। 


'গোটা প্রক্রিয়ায় আমি হতাশ, FIR করতে গেলেও ন্যূনতম কিছু তথ্য লাগে', ছত্রে ছত্রে পুলিশের অতিসক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের । 'আসফাকুল্লা নিজেকে ENT বিশেষজ্ঞ বলে দাবি করেছেন তার প্রমাণ কোথায়? MBBS হিসেবে আসফাকুল্লা নাইয়া তো প্র্যাকটিস করতেই পারেন। প্রেসক্রিপশন ছাড়াই কীভাবে মামলা রুজু করল পুলিশ?' প্রশ্ন বিচারপতির । পুলিশের কাছ থেকে কেস ডায়েরি তলব করল হাইকোর্ট, কাল শুনানি।


বিশেষজ্ঞ না হয়েই স্পেশালিস্ট হিসেবে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করার অভিযোগে সম্প্রতি আর জি কর মেডিক্যালের জুনিয়র ডাক্তার ও আন্দোলনের অন্য়তম প্রধান মুখ আসফাকুল্লা নাইয়ার কাকদ্বীপের বাড়িতে হানা দিয়েছিল বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। আর জি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ করায় ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন জুনিয়র চিকিৎসক। এরপরেই আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল জুনিয়র চিকিৎসক আসফাকুল্লা নাইয়া বলেছিলেন, 'আমি এরকম একটা রেপ এবং মার্ডারের মতো জঘন্য ঘটনার প্রতিবাদ করেছি বলে আজকে পুলিশ রেড করতে গিয়েছে।' 


আর জি কর মেডিক্যালে ধর্ষণ-খুনের মামলায় রায় ঘোষণার ঠিক আগে নিয়ম ভেঙে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করার অভিযোগে আর জি কর মেডিক্যালের জুনিয়র ডাক্তার ও আন্দোলনের অন্য়তম প্রধান মুখ আশফাকুল্লা নাইয়ার কাকদ্বীপের বাড়িতে হানা দিয়েছিল বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। বিতর্কের শুরু হয়েছিল এই পোস্টার থেকে। সিঙ্গুরের একটি হেলথ সেন্টারের এই পোস্টারে ENT বিভাগের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি আসফাকুল্লা নাইয়াকে ENT বিশেষজ্ঞ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল।


এই ছবি সামনে আসতেই রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের কাছে আসফাকুল্লা নাইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন, যে সংগঠনের একাধিক সদস্য আবার থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত। তারপরই ৭ দিনের মধ্যে এর ব্যখ্যা চেয়ে জুনিয়র ডাক্তারকে চিঠি পাঠিয়েছিল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল।যদিও সেই চিঠিতে কোনও সই বা তারিখ ছিল না বলে অভিযোগ।এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সকালে কাকদ্বীপের হারউড পয়েন্টে আসফাকুল্লা নাইয়ার বাড়িতে পৌঁছেছিল ইলেকট্রনিক কমপ্লেক্স থানার প্রায় ৩০ জন পুলিশ।


আরও পড়ুন, ব্যারাকপুর স্টেশনের কাছে বিধ্বংসী আগুন ! দাউদাউ করে জ্বলছে শপিং মল, বন্ধ যান চলাচল..
 


আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল পিজিটি আসফাকুল্লা নাইয়া বলেছিলেন,'উদ্দেশ্য কিছু সার্চ করা নয়। উদ্দেশ্য হচ্ছে বাড়ির লোককে ভয় দেখানো, দেখো এতগুলো পুলিশ আমরা এসেছি। সাধারণ মানুষকে আজকে তুমি বিষ স্যালাইন দিয়ে মারার প্রচেষ্টা করছ, সেখানে দুর্নীতি করে মানুষকে ভুলভাল ট্রিটমেন্ট দিচ্ছ। ৭০০ মানুষকে আপনি দাঁড় করিয়ে রাখছেন, সকাল থেকে এসে সেই রাত পর্যন্ত, একটা প্যারাসিটামল নিয়ে বাড়ি যাচ্ছে, এই সিস্টেমগুলো আপনি উন্নতি করতে পারছেন না। যে বলছে তার পিছনে আপনি পুলিশ পাঠাচ্ছেন। '