সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: চিংড়িঘাটা মেট্রো নিয়ে এবার বড়সড় নির্দেশিকা দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ১৫ ই ফেব্রুয়ারির আগেই চিংড়িঘাটা মেট্রোর পিলার নির্মাণের কাজ শেষ করতে হবে। তার আগে ৩ রাত ব্যাপী ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করবে রাজ্য সরকার। চিংড়িঘাটা মেট্রোর কাজ নিয়ে একেবারে স্পষ্ট নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল ও বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের বেঞ্চ।

Continues below advertisement

চিংড়িহাটায় মেট্রোর লাইনের কাজের জন্য় এবার একেবারে ডেডলাইন বেঁধে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল ও বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের বেঞ্চ মঙ্গলবার নির্দেশ দেয়, ১৫ ফেব্রুয়ারির আগেই চিংড়িঘাটা মেট্রোর পিলার নির্মাণের কাজ শেষ করতে হবে। তার আগে ৩ রাত ব্যাপী ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করবে রাজ্য সরকার। কোন কোন তারিখ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা হবে, তা ৬ জানুয়ারির মধ্যে RVNL কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেবে রাজ্য সরকার।

রাস্তা বন্ধ করে কাজের অনুমতি না মেলায়, চিংড়িহাটায় আটকে রয়েছে মেট্রো রুটের কাজ। ৩৬৬ মিটারের এই জট ঘিরে দীর্ঘদিন যাবৎ রাজ্য ও RVNL-এর তরজা চলছেই.. জল গড়িয়েছে হাইকোর্ট অবধি। মঙ্গলবার, এই সংক্রান্ত শুনানি চলাকালীন, রাজ্য সরকারের আইনজীবী বলেন, ৬ মাস কেন, আগামী ৬ বছরেও কাজ শেষ করতে পারবে না মেট্রো। আসলে এটি একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা। RVNL বা মেট্রো কর্তৃপক্ষই এই জনস্বার্থ মামলা করিয়েছে বলে আমরা সন্দিহান। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের আইনজীবী বলেন, ৩-৪ সপ্তাহ পরে কাজ করলে কী অসুবিধা?

Continues below advertisement

এখন বড়দিন, বর্ষবরণ থেকে গঙ্গাসাগর মেলা আছে। পাল্টা RVNL-এর আইনজীবী প্রশ্ন করেন, বাংলায় ১২ মাসে তেরো পার্বণ। কাজ কবে করবে মেট্রো? রাজ্য সরকারের উৎসবের কথা মনে আছে, কিন্তু পরীক্ষার কথা মনে নেই? এরপর ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল মন্তব্য করেন, ভারতবর্ষে সবসময়ই কোনও না কোনও উৎসব থাকবে। কিন্তু, তারমধ্যেই কাজ শেষ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, এই মামলা ব্যক্তিস্বার্থে করা নয়। কাজ দ্রুত শেষ হলে তাতে মানুষেরই সুবিধা হবে। প্রকল্প শেষ করতে যত দেরি, ততই চাপ পড়বে সরকারি কোষাগারে এবং সাধারণ মানুষের ওপর।

এর আগে, আদালতের নির্দেশমতো ১৭ তারিখ বৈঠক হলেও, সেখানে জট কাটেনি। এবার হাইকোর্টের ডেডলাইনে কি কাজ হবে? সেটাই দেখার।