মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদের জাফরাবাদে হরগোবিন্দ-চন্দন দাস খুনে ১৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতের। এই ইস্যুতে সাংবাদিক সম্মেলনে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, আমরা, আজকের রায়কে স্বাগত জানাতে পারছি না। এবং ফাঁসির সাজার জন্য পরিবারের যে দাবি, তার সঙ্গে সহমত পোষণ করছি।'

Continues below advertisement

আরও পড়ুন, সামশেরগঞ্জে হরগোবিন্দ-চন্দন দাস খুনে ১৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

Continues below advertisement

 এদিন শুভেন্দু বলেন, বাড়ির ভিতরে ঢুকে পশু কাটার অস্ত্র দিয়ে, খুন যারা করলেন, এদের ফাঁসি গোটা ভারতবর্ষ, গোটা পশ্চিমবঙ্গ চেয়েছিল। ইনক্লুডিং পরিবার। হাইকোর্ট সুপ্রিম কোর্টের যে আইনজীবীদের দরকার, সেই আইনজীবীরাই যাতে, ওনাদের পরিবারকে আইনি লড়াইয়ে সাহায্য করে, তার ব্যবস্থা আমরা করব। ফাঁসি হল না, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ, এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর জন্য দায়ী।'

মূলত, এদিন সামশেরগঞ্জে  হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর ছেলে চন্দন দাসের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে ১৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ জঙ্গিপুর মহাকুমা আদালতের। মৃতের পরিবারকে ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সকাল থেকে বিভিন্নভাবে আসামিপক্ষ এবং সরকারপক্ষের আইনজীবীরা তাঁরা শেষমুহূর্ত অবধি সওয়াল করেন। একে একে তাঁদের বক্তব্য শোনার পরে ১৩ জনকে, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করে আদালত। 

সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, ৩৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ গ্রহণ করা হয়েছে।  এবং সাক্ষ গ্রহণ করার পরে, আজকে এই রায় ঘোষণা করে আদালত। আইনজীবী বিভাষ চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিভিন্ন জাজমেন্টগুলি দাঁড় করিয়েছি, কিন্তু জাজমেন্ট তো আমাদের হাতে থাকে না। কিন্তু আমরা এটা বিতার করে দেখব, সরকারের তরফে কী হয়, তারপরে আমরা ডিসাইড করব। তবে অখুশি আমরা নই।কারণ আমাদের দুটোই অপশন খোলা ছিল, যাবজ্জীবন অথবা ডেথ। কিন্তু ডেথ সেনটেন্স নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট যত জাজমেন্ট দিয়েছে, ডেথকে নেগেট করছেন, ডেথ সেনসেন্সে যেতে বারণ করছেন। 

এক্স হ্যান্ডেলে ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশ পোস্ট করে জানিয়েছে, তদন্তের সময় সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে প্রাথমিক সূত্র পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়া গুগুল ম্যাপস লোকেশন ভিশ্যুয়ালাইজেশন পদ্ধতি ব্যবহার করে, অভিযুক্তদের মোবাইলের সিডিআর (CDR) ম্যাপে প্লট করা, হয়েছিল। এর মাধ্যমে অপরাধের জায়গায়, তাঁদের উপস্থিতি এবং প্রবেশ প্রস্থান পথ স্পষ্টভাবে, প্রমাণ হয়েছে। অভিযুক্তদের হাঁটার ধরণ বা গেইট প্যাটার্ন বিশ্লেষণ (Gait Pattern Analysis) করা হয়েছিল, যা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাওয়া ব্যক্তিদের হাঁটার ধরণের সঙ্গে হুবহু মিলে গিয়েছে।