সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে বিধাননগর পুরসভা (Bidhannagar Municipality)। আদালতের পর্যবেক্ষণ, বেআইনি নির্মাণ কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বেআইনি নির্মাণ হয়ে চলেছে, আর বিধাননগর পুরসভা চোখ বন্ধ করে আছে ! বিধাননগর পুরসভার ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি ৩০ দিনের মধ্যে পুরসভাকে বেআইনি নির্মাণের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি, পুরসভাকে ইন্সপেক্টদের নিয়ে একটি টিম গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যারা সুনিশ্চিত করবে বিধাননগর পুরসভায় আর কোন বেআইনি নির্মাণ যাতে না হয়। ১৫ মে মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। বেআইনি নির্মাণ নিয়ে হাইকোর্টের যে পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। 


আদালতের শুনানির মাঝে উঠে আসে, বিধাননগরে ৩৯ টি প্লটে ৩৩৩ টি নির্মাণ আছে। যার মধ্যে ২০ টি সিঙ্গেল স্টোরেড বিল্ডিং। যে নির্মাণ ও যাবতীয় সমস্ত নির্মাণ প্রসঙ্গে খতিয়ে দেখতে ইনপেক্টরদের নিয়ে একটি দল তৈরির নির্দেশ দিয়েছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। যাতে বিধাননগর পুরসভা এলাকায় কোনও অবৈধ নির্মাণ (Illegal Construction) আর না হয়, সেটা নিশ্চিত করার বার্তাও দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি যে অবৈধ নির্মাণগুলি ইতিমধ্যে হয়ে গিয়েছে, সেগুলো নিয়ে কী করা হবে, তা ঠিক করার জন্য বিধাননগর পুরসভাকে একমাস সময় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। যার মধ্যে তারা কী পদক্ষেপ করছে, সেটা বিস্তারিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে। পদক্ষেপ করার বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি বিধাননগর পুরসভাকে ভর্ৎসনা করে আদালতের মন্তব্য, বেআইনি নির্মাণ কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বেআইনি নির্মাণ হয়ে চলেছে, আর বিধাননগর পুরসভা চোখ বন্ধ করে আছে ! 


আরও পড়ুন- ভরা বাজারে তাড়া করে তৃণমূল নেতাকে খুন নদিয়ায় ! প্রবল চাঞ্চল্য


কয়েকদিন আগেই জানবাজারে এন্টালির বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহাকে ঘিরে বিক্ষোভ হয়, তাঁর বাড়ি ঘেরাও করা হয়েছিল। যেখানেও উঠে এসেছিল অবৈধ নির্মাণের প্রসঙ্গ। বিধায়কের বাড়ি ঘেরাও করেন ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের। বিধায়ক অনুগামীদের বিরুদ্ধে ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের মারধরের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ বিধায়ক ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার বাসিন্দাদের মারধর করেন। অবৈধ নির্মাণের প্রতিবাদ করায় মারধর বলে অভিযোগ। যে প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে স্বর্ণকমল সাহা জানান, এর পিছনে বিরোধীদের রাজনীতি রয়েছে। কলকাতার কোথাও না কোথাও অবৈধ নির্মাণ সবসময় চলছে বলেও দাবি করেছিলেন তিনি।