কলকাতা: SSC-র গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত। আজ এই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি হরিশ টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে। আদালত সূত্রে খবর, শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ মন্তব্য করে, গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কমিশন এবং পর্ষদের মধ্যে কাকে বিশ্বাস করা যাবে? যদি অনিয়ম হয়েছে ধরে নেওয়া হয়, তাহলে কে দায়ী, খুঁজে বের করা সহজ নয়।
মামলাকারীদের পক্ষে, আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সওয়াল করেন, সরকার স্কুল খোলার দোহাই দিয়ে অনিয়মের পাশে দাঁড়াচ্ছে। শুধু গ্রুপ ডি নয়, অনেক ক্ষেত্রেই অনিয়ম হয়েছে। মেয়াদ শেষের পরও সুপারিশ হয়েছে, এমন নথিও জমা দেন মামলাকারীরা। হাইকোর্টের নির্দেশ, আদালতের কাছে জমা পড়া ভুয়ো নিয়োগের সুপারিশপত্রের সঙ্গে বাগ কমিটির কাছে থাকা নথি মিলিয়ে দেখতে চায় ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী বৃহস্পতিবার পরবর্তী শুনানি।
উল্লেখ্য গ্রুপ ডি-র (SSC Group D) ৫৭৩ জনের বেতন বন্ধ এবং চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সেই নির্দেশের ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। ৫৭৩ জনের বেতন বন্ধ এবং চাকরি বাতিলের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে আজ। আগামী ৭ দিন বহাল থাকবে স্থগিতাদেশ, গতকাল ফের শুনানির কথা ছিল।
গ্রুপ ডি মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশেও অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের। আগামী ২ সপ্তাহ সিঙ্গল বেঞ্চে কোনও শুনানি নয়। গ্রুপ ডি মামলায় বিচারপতি হরিশ টন্ডন মন্তব্য করেন ‘এটা কি অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড, আগে গলা কেটে দাও তারপর বিচার?’ অর্থাৎ স্থগিতাদেশ মেলায় আপাতত গ্রুপ ডি-র (SSC Group D) ৫৭৩ জনের চাকরি বহাল থাকছে এবং বেতনও বন্ধ হচ্ছে না।
গ্রুপ ডি (SSC Group D) মামলায় সিবিআইকে (CBI) অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ। সেইসঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চ নিযুক্ত কমিটিকে খারিজ করা হয়।