কলকাতা: প্রাথমিকে নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় (Primary TET) সিবিআইয়ের (CBI) রিপোর্ট তলব কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। মঙ্গলবারের মধ্যে প্রয়োজনীয় নথি যুক্ত করে তদন্তে অগ্রগতির রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিল বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামিকাল মামলার পরবর্তী শুনানি। এদিন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার বলেন, ‘এখানে ব্যাপারটা নিউটনের আপেলের মতো। গাছের নীচে বসে ছিলেন, হঠাৎ একটা আপেল এসে পড়ল। এখানেও হঠাৎ কিছু চাকরি প্রার্থী বাড়তি ১ নম্বর পেয়ে গেলেন। এ ক্ষেত্রে এই ১ নম্বর হল নিউটনের আপেল। এই ১ নম্বর কোথা থেকে এল সেটাই এই মামলার বিচার্য বিষয়।’

অন্যদিকে এ দিন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য বলেন  ‘ভগবানকে ধন্যবাদ যে আমাকে প্রয়াত শ্বশুর মশাইয়ের সম্পত্তির হিসেব দিতে হয়নি। বাকি পরিবারের প্রায় সবার সম্পত্তির হিসেব পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এটা আদালত করতে পারে না।’


মানিক ভট্টাচার্যর বাড়িতে সিবিআই: প্রাথমিক টেট-দুর্নীতি মামলায় (West Bengal Board Of Primary Education) শহর জুড়ে  তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে সিবিআই (CBI)। এর আগে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর (Manik Bhattacharya) বাড়িতে যায় সিবিআই। যাদবপুরে মানিক ভট্টাচার্যর দু'টি বাড়িতে সিবিআই হানা (Kolkata News)। 


প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের হানা সিবিআই-এর:  প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচীর বাড়িতেও সিবিআই তল্লাশি। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসেও সিবিআই টিম। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, প্রাথমির টেট মামলায় দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কলকাতার মোট ৬টি জায়গায় অভিযান চলছে। এই দলে রয়েছেন ৫০-৬০ জন সিবিআই অফিসার। 


' এটা কি ক্লাস টেস্ট ? ' ২০১৪ সালের প্রাথমিকে টেট-দুর্নীতির মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চেও ক্ষোভের মুখে পড়ে পর্ষদ। ‘এটা কি ক্লাস টেস্ট?’ ‘আপনাদের কি মনে হয় না, যে তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে?’ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে এমনই কড়া প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি।


২০১৪ সালের প্রাথমিকে টেট-দুর্নীতির মামলায়, CBI তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু, এরপর ২৭৩ জনকে বাড়তি ১ নম্বর দেওয়া নিয়ে কড়া প্রশ্ন ছুড়ে দেয় সেই বেঞ্চও। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার বলেন, দিনের শেষে এটা বলা যায় যে, পর্ষদ কোনও ক্লাস টিচার নয় এবং তারা কোনও ক্লাস টেস্ট নিচ্ছে না। এটা একটা নিয়োগ প্রক্রিয়া। আপনার মনে হল, কিছু ব্যক্তিকে আপনি ১ নম্বর করে দেবেন, এবং দিয়েও দিলেন! 


আরও পড়ুন: Cooch Behar News: মোবাইল-টর্চের আলোয় চিকিৎসা ! চ্যাংড়াবান্ধার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ফুঁসছে রোগীর পরিবার