সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোতে (Government Medical College) 'থ্রেট কালচার' এবং 'উত্তরবঙ্গ লবি'র প্রভাব নিয়ে এবার জনস্বার্থ মামলা হল কলকাতা হাইকোর্টে। হাসপাতালের ৬০ শতাংশ মহিলা চিকিৎসক বিভিন্নভাবে দুর্ব্যবহারের শিকার হন বলে অভিযোগ রয়েছে। বললেন প্রধান বিচারপতি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজ্য় সরকারের কাছে হলফনামাও তলব করেছে হাইকোর্ট।
এবার জনস্বার্থ মামলা: বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ থেকে শুরু হয়ে, রাজপথ দিয়ে 'থ্রেট কালচারে'র অভিযোগের জল গড়াল এবার কলকাতা হাইকোর্টে। রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি মেডিক্যাল কলেজে 'থ্রেট কালচার' এবং 'উত্তরবঙ্গ লবি'র প্রভাব নিয়ে এবার জনস্বার্থ মামলা হল কলকাতা হাইকোর্টে। আর এই মামলা প্রসঙ্গেই অত্য়ন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি বিভাস পট্টনায়েকের বেঞ্চ বলে একটি অভিযোগেরও সত্যতা থাকলে তা অত্যন্ত গুরুতর। মামলায় প্রশ্নপত্র বিক্রি, বদলি-সহ একাধিক অভিযোগ আছে।এই মামলায় রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের উপস্থিত থাকা প্রয়োজন। এরপরই 'থ্রেট কালচার' এবং 'উত্তরবঙ্গ লবি'র প্রভাব নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে রাজ্য সরকারের হলফনামা তলব করে কলকাতা হাইকোর্ট।
প্রধান বিচারপতি এদিন বলেন, উত্তরবঙ্গের একটি মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালের রিপোর্টেও এই 'থ্রেট কালচারে'র উল্লেখ রয়েছে। ৪ জনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপও করা হয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। একজন মহিলা চিকিৎসক বলছেন যে, তাঁকে তাঁর বাবা নিরাপত্তার জন্য ছুরি দিয়েছেন। আরেক মহিলা চিকিৎসক বলছেন যে, তিনি পিপার স্প্রে সঙ্গে নিয়ে কর্মক্ষেত্রে যান। হাসপাতালের ৬০ শতাংশ মহিলা চিকিৎসক বিভিন্নভাবে দুর্ব্যবহারের শিকার হন বলে অভিযোগ।
থ্রেট কালচারে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের সময়, বুধবার তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয় আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। অভিযুক্তদের হাসপাতালে ঢুকতে দেখেই, ক্ষোভে ফেটে পড়েন জুনিয়র ডাক্তাররা! এই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ডাকা হয়েছিল ১১জনকে। একে একে হাজিরা দেন তাঁরা। সাক্ষী হিসেবে আসেন অনেক চিকিৎসক পড়ুয়াও। এই জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ও সেই সংক্রান্ত নথি জমা পড়েছে বলে তদন্ত কমিটি সূত্রে দাবি। যেমন-যৌন নিগ্রহের অভিযোগ জমা পড়েছে। হুমকি দিয়ে পরীক্ষায় ফেলও করানো হয়েছে।দেখা গেছে, অনেকে MBBS-এর প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষে খুব ভাল ফলাফল করলেও, তৃতীয় বর্ষে সেই পরীক্ষার্থী কয়েকটি বিষয়ে অসফল হয়েছেন। অন্যদিকে অনেক ফ্যাকাল্টিকেও বলা হয়েছিল অন্যায়ভাবে পাস করিয়ে দেওয়ার জন্য। অর্থাৎ ৭৫ শতাংশের বেশি নম্বর দিয়ে অনার্স মার্কস দিতে বলা হয়েছিল বলে তদন্ত কমিটি সূত্রে দাবি।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Durga Puja 2024: উৎসবের বাংলায় প্রতিবাদের ভাষা, অনাড়ম্বরভাব পুজোর আয়োজন সোদপুরে