সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : অখিল গিরির (Akhil Giri) বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় দায়ের হওয়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ? রাজ্য সরকারের কাছে জানতে চাইল হাইকোর্টের (High Court) প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিয়ে এবিষয়ে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ১২ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য-মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক হয়েছে।
গতকাল কী জানিয়েছিল রাজ্য ?
রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে কারামন্ত্রী অখিল গিরির অবমাননাকর মন্তব্যে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। তা নিয়েই আইনি লড়াই শুরু হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। সোমবারই অখিল গিরির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত। বুধবার তারই শুনানিতে রাজ্য সরকারের তরফে দাবি করা হয়, অখিল গিরির বিরুদ্ধে যে ডেপুটেশন জমা পড়েছে, তার ভিত্তিতে অনুসন্ধান শুরু করেছে পুলিশ। কোনও ধর্তব্যযোগ্য অপরাধ আছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গতকাল আদালতে রাজ্য সরকারের তরফে দাবি করা হয় যে, অখিল গিরির মন্তব্যের প্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট করে কোনও FIR দায়ের হয়নি। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চ মন্ত্রীর আইনজীবীর বক্তব্য জানতে চায়। অখিল গিরির আইনজীবী আদালতের কাছে আরও সময় চেয়ে নেন।
রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে অখিল গিরির মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই ক্ষমা চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, "অখিলকে দল সাবধান করে দিয়েছে। আমি রাষ্ট্রপতিকে সম্মান করি, শ্রদ্ধা করি, হাইলি রেসপেক্টেড, তাঁর সম্পর্কে অখিলের মন্তব্য করা ঠিক হয়নি, পার্টি থেকে সাবধান করা হয়েছে।'' কিন্তু, বিজেপি এই ইস্যুকে হাতছাড়া করতে নারাজ। অখিল গিরিকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করার দাবিতে রাজভবনে দরবার করেছে বিজেপি। রাজ্যের বিভিন্ন থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে অখিল গিরির বিরুদ্ধে। দিল্লি, ওড়িশা, অসমের মতো রাজ্যেও পুলিশে অভিযোগ জমা পড়েছে। এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে তোলপাড় চলছে রাজ্য-রাজনীতিতে।
আজ ফের হাইকোর্টে অখিল গিরি সংক্রান্ত এই মামলার শুনানি হয়। তখনই তৃণমূল বিধায়ক ও কারামন্ত্রী অখিল গিরির কুরুচিকর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন থানায় দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ কী পদক্ষেপ নিয়েছে? তা রাজ্য সরকারের কাছে হলফনামা আকারে জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।
আরও পড়ুন ; অখিলের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের ইঙ্গিত এসসি-এসটি কমিশনের