ঝিলম করঞ্জাই, পূর্ণেন্দু সিংহ এবং সন্দীপ সমাদ্দার, কলকাতা: শিক্ষা দিয়েছে যাদবপুর (Jadavpur University)। প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের জন্য আলাদা হস্টেলের ব্যবস্থা করছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। (Calcutta Medical college) হস্টেলে কারা থাকছেন, প্রাক্তনীরা থাকছেন কিনা, থাকলেও কী প্রয়োজনে? সবটাই খতিয়ে দেখছে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
যাদবপুরের ঘটনা থেকে শিক্ষা
যাদবপুরের ঘটনা থেকে শিক্ষা। ক্যাম্পাসে র্যাগিং ঠেকাতে উদ্যোগী কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের আলাদা রাখার সিদ্ধান্ত নিল কলেজ কর্তৃপক্ষ। প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের জন্য ২ টি আলাদা হস্টেলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। একটি গার্লস হস্টেল ও আরেকটি বয়েজ হস্টেলের ব্যবস্থা করছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। গিরিবাবু লেনের বয়েজ হস্টেলে রাখা হবে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের।
কলকাতা মেডিক্যালের হস্টেলে কারা থাকছেন? কতজন আবাসিক রয়েছেন? কী কী প্রয়োজন?
গার্লস হস্টেল হিসেবে কোনটি নির্ধারিত করা হবে তা নিয়ে মতামত নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের হস্টেল পরিদর্শনে যান উপাধ্যক্ষ অঞ্জন অধিকারী ও ডিন অফ স্টুডেন্টস মানব নন্দী। হস্টেলে কারা থাকছেন? কতজন আবাসিক রয়েছেন? কী কী প্রয়োজন? খোঁজ নেন উপাধ্যক্ষ ও ডিন অফ স্টুডেন্টস। হস্টেল পরিদর্শনের পর এদিন ফের বৈঠকে বসে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মিলিয়ে রয়েছে মোট ৮ টি হস্টেল।
পুনর্গঠন করা হয়েছে হস্টেল কমিটি
পুনর্গঠন করা হয়েছে হস্টেল কমিটি।হস্টেলে কারা থাকছে এবং কারা প্রাক্তনী হয়েও হস্টেলে রয়েছে, সেই বিষয়গুলি নিয়ে রিপোর্ট জমা দেবেন হস্টেল সুপার।কারা হস্টেলে থাকতে পারবেন, আর কারা পারবেন না সেই নিয়ে চলতি মাসের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলতে চাইছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। হস্টেল ছাড়তে হলে তাঁকে ১ সপ্তাহ সময় দেওয়া হবে। এদিকে, ক্যাম্পাসে র্যাগিং রুখতে কড়া বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।এত সচেতনতা, প্রচারের পর কি চিরতরে রাশ টানা যাবে র্যাগিংয়ে? ক্যাম্পাসে আর কোনও স্বপ্নের করুণ পরিণতি হবে না তো? এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে সব মহলে।
আরও পড়ুন, বাঙালিকে ভালবেসে অনুবাদ, গুলজারের জীবন বদলে দেওয়া বই হয়ে এসেছিলেন রবীন্দ্রনাথ
অ্যান্টি র্যাগিং ব্যানার
হস্টেলে সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। পাশাপাশি, প্রাক্তন পড়ুয়ারা কেউ হস্টেলে থাকছেন কিনা, তার ওপরেও চালানো হবে কড়া নজরদারি। অন্যদিকে, পুরুলিয়ার সিধো কানহো বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ে তড়িঘড়ি ছাপানো হল অ্যান্টি র্যাগিং লিফলেট। ক্যাম্পাসের একাধিক বিল্ডিংয়ে লাগানো হল অ্যান্টি র্যাগিং ব্যানার। (Anti ragging banner)