কলকাতা: দিনভর হাড়ভাঙা পরিশ্রম, একগাদা চিন্তা (Tension) । তার পর, রাতে বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে যদি নিশ্চিন্ত, গভীর ঘুম না আসে, তা হলে পরদিন মন ও শরীর, দুটোই বিগড়ে যাওয়ার আশঙ্কা। (Lifestyle) আর দিনের পর দিন একই সমস্যা চলতে থাকলে হতে পারে বড়সড় বিপদ, সতর্ক করে রেখেছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু ঘুম না এলে কী করা? ডাক্তাররা (Doctor) জানাচ্ছেন, পর্যাপ্ত ঘুমের জন্য কিছু নিয়ম পালন করা দরকার। একে 'স্লিপ শিডিউল' বা 'স্লিপ রুটিন' বলা হয়। তাঁদের পরামর্শ, এতে ঘুম হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। রয়েছে আরও কিছু সুফলও।
কেন 'স্লিপ রুটিন' অনুসরণ করা দরকার?
- ঘুমের মান: দেওয়াল বা হাতঘড়ির মতো আমাদের দেহেরও নিজস্ব একটা ঘড়ি রয়েছে, যাকে বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় বলা হয় 'সারকাডিয়ান রিদম।' ঘুমের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট রুটিন মেনে চললে দেহের এই নিজস্ব ঘড়ি
সময়ও বেশ কিছুটা ধরাবাঁধা ছন্দে এগোতে পারে। ফলে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়া সহজতর হয়, পাশাপাশি ঘুমের মানও ভালো হতে পারে। শুধু তাই নয়। 'স্লিপ শিডিউল' মেনে চললে প্রত্যেক দিন একটি নির্দিষ্ট সময় ঘুম থেকে উঠতেও অসুবিধা হয় না। - কাজের মানোন্নয়ন: ঘুমিয়ে পড়া ও জেগে ওঠার সময় নির্দিষ্ট থাকলে গোটা দিনটার কাজকর্ম আগে থেকে পরিকল্পনা করে নেওয়া সম্ভব। ফলে কাজের গতি বাড়ে। তা ছাড়া ঠিকঠাক ঘুম মানে দিনের বেলা আরও বেশি সজাগ, মনোযোগী ও কর্মব্যস্ত থাকা যায়।
- মানসিক স্বাস্থ্য়ের উন্নতি: মানসিক স্বাস্থ্য ধরে রাখতে হলে পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত জরুরি। এর উপর স্ট্রেস, আবেগের নিয়ন্ত্রণ এবং সার্বিক ভালো থাকার অনুভূতি অনেকটাই নির্ভর করে। বিশেষজ্ঞদের অনেকে মনে করেন, অবসাদ, অ্যানজাইটি ডিসঅর্ডারের বাড়ার সঙ্গে ঘুম না হওয়ার নির্দিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে। সহজ কথায়, পর্যাপ্ত ও নিয়মিত ঘুম মন ভালো রাখতে আবশ্যক। আর 'স্লিপ শিডিউল' ঘুমের নিয়মিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে।
- অনেক বেশি এনার্জি: ঘুম আসলে আমাদের শরীরের শক্তি ফেরাতে জরুরি। তাই 'সুখনিদ্রা' সব সময় 'এনার্জি'-এর মাত্রা বাড়াতে সাহায্য় করে। দিনভর অনেক বেশি তরতাজা রাখে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: 'বাইরের শত্রুর' আক্রমণ প্রতিহত করতে শরীর যে ভাবে মোকাবিলা করে, সেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে ঘুমের। তা ছাড়া নিয়মিত ঘুমের অভাবে ওজনবৃদ্ধির মতো সমস্যাও বাড়তে পারে। হৃৎপিণ্ডের নানা সমস্যা, ডায়াবিটিস, স্থূলত্বের মতো রোগ থাকলে তারও বাড়বৃদ্ধি হতে পারে ঘুমের অভাবে।
সব এড়াতে নিয়মিত ঘুম জরুরি।
আরও পড়ুন:বেছে বেছে বিলকিসের ধর্ষকদেরই কেন মুক্তি? বাকিরা কী দোষ করেছে? প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের