সন্দীপ সরকার ও সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: খড়্গপুর IIT-র (Kharagpur IIT) ছাত্র ফয়জান আহমেদকে খুন করা হয়েছিল বলে দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে প্রথম ময়না তদন্তে এই ঘটনায় আত্মহত্য়ার দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছিল। সেখান থেকে কীভাবে সামনে এল খুনের তত্ত্ব? তা নিয়ে এই প্রথমবার এবিপি আনন্দে মুখ খুললেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ অজয়কুমার গুপ্ত (Ajay Gupta)। যাঁর নেতৃত্বে ফয়জানের দেহের দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত হয়েছিল।
গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই থেকে টাটা মোটর্সের প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্য়ান রবি কান্ত কিংবা দিল্লির মুখ্য়মন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রত্য়েকটা নামের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে এ রাজ্য়ের একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম।
পরিকল্পনা করে খুন? খড়্গপুর আইআইটি (Kharagpur IIT) আর তাই ভারতের এই অভিজাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছেলে-মেয়েকে পড়ানোর স্বপ্ন দেখেন সমস্ত মা-বাবা। ব্য়তিক্রম ছিলেন না অসমের রেহানা আহমেদও। কিন্তু, কে জানত এই আইআইটি-তেই তাঁর ছেলের মর্মান্তিক পরিণতি হবে। মেধার আঁতুড়ঘরেই উঠবে এক মেধাবীকে পরিকল্পনা করে খুনের মতো বীভৎস অভিযোগ!
এই ঘটনায় যেভাবে খুনের অভিযোগ যেভাবে সামনে আসে, তা একেবারে হাড় হিম করে দেওয়ার মতো! এই প্রথমবার তা নিয়ে এবিপি আনন্দে বিস্ফোরক খোলসা করলেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ অজয়কুমার গুপ্ত।
প্রথম কী দেখে সন্দেহ? যাঁর নেতৃত্বে দ্বিতীয় ময়নাতদন্তে খুনের তত্ত্ব সামনে আসে। প্রথম কী দেখে সন্দেহ? তিনদিন ধরে ফয়জানকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছিল না। এর পর দেহ উদ্ধারের সময় দেখা যায়, রহস্য়জনকভাবে পচন ধরলেও, শরীরের বিভিন্ন অংশে ত্বকের রঙ ছিল আলাদা। তিনদিন পরও মৃতদেহ থেকে কোনও দুর্গন্ধ বেরোয়নি।
এ প্রসঙ্গেই এ কে গুপ্তর চাঞ্চল্য়কর দাবি, হস্টেলের ঘরে মিলেছিল রাসায়নিকের ক্য়ান ছিল, যা মাংস সংরক্ষণে কাজে লাগে। পচন আটকাতে দেহে রাসায়নিক? এ কে গুপ্তর দাবি, দ্বিতীয় ময়নাতদন্তে আরও কিছু প্রমাণ মেলে, যাতে খুনের বিষয়টি কার্যত স্পষ্ট হয়ে যায়। কোথায় জোরাল খুনের তত্ত্ব?
হস্টেলের ঘরে দুই গ্রুপের রক্তের দাগ, এই সব বিষয়গুলির ওপর ভর করেই এ কে গুপ্ত হাইকোর্টে দেওয়া পর্যবেক্ষণে জানান, এটা আত্মহত্য়া নয় হত্য়া। এবার আদালতের তৈরি করে দেওয়া সিটের তদন্ত কী উঠে আসে, সেটাই দেখার অপেক্ষা।
আরও পড়ুন: Howrah News:নেশামুক্তি কেন্দ্রে রোগীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগে তীব্র আলোড়ন হাওড়ার দাশনগরে, ধৃত ৬