কলকাতা: লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের (Leaps And Bounds) ফাইল ডাউনলোড মামলায় হাইকোর্টে ধাক্কা পুলিশের (Kolkata Police)। 'ইডি-র (Enforcement Directorate) কাছে তথ্য চেয়ে ই মেল বা চিঠি পাঠাতে পারবে না কলকাতা পুলিশ। ১৬টি ফাইল ডাউনলোড সংক্রান্ত কোনও তথ্য চাইতে পারবে না পুলিশ। ইডি তো কম্পিউটার বাজেয়াপ্তও করেনি, তাদের উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়ে গেছে। ফাইল ডাউনলোড মামলায় মৌখিক নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিন্হার। ফাইল ডাউনলোড মামলায় পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগে হাইকোর্টে ইডি। 


লিপস এন্ড বাউন্ডসের ( Leaps and Bounds) কম্পিউটারে ১৬ টি ফাইল ডাউনলোড করা নিয়ে ইডিকে ইমেল করে কলকাতা পুলিশ। (kolkata police) ১৪টি প্রশ্নের উত্তর চেয়ে ইডিকে ইমেল পাঠিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। ২ সেপ্টেম্বর করা ইমেলের ভিত্তিতেই নতুন করে আবেদন করে ইডি।


মামলায় মৌখিক নির্দেশ


এই ইস্যুতে হাইকোর্টে ধাক্কা খায় কলকাতা পুলিশ। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের কম্পিউটারে ফাইল ডাউনলোড মামলায় মৌখিক নির্দেশ দিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, ED-র কাছ থেকে কোনও তথ্য চেয়ে ইমেল বা চিঠি পাঠাতে পারবে না কলকাতা পুলিশ। বারবার ডেকে হয়রানি করছে কলকাতা পুলিশ। এই অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার আদালতের দ্বারস্থ হয় ইডি। 


লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের কম্পিউটারে ফাইল ডাউনলোড ঘিরে একাধিকবার কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।  এবার ফাইল ডাউনলোড মামলায় পুলিশের ভূমিকাতেই প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। ED-র কাছ থেকে কোনও তথ্য চেয়ে ইমেল বা চিঠি পাঠাতে পারবে না কলকাতা পুলিশ। মৌখিক নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিন্হা।


গত ২১ অগাস্ট লিপস অ্য়ান্ড বাউন্ডসের অফিসে ইডির তল্লাশির পরই সংস্থার তরফে লালবাজারে অভিযোগ করা হয়, তল্লাশি চলাকালীন 'লিপস অ্য়ান্ড বাউন্ডসের' কর্মীদের অজ্ঞাতসারে, বেআইনিভাবে অফিসের কম্পিউটারে ১৬টি এক্সেল ফাইল ডাউনলোড করেন ইডির অফিসাররা। যার সঙ্গে সংস্থার কোনও সম্পর্ক নেই। পাল্টা,  কলকাতা পুলিশকে চিঠি দিয়ে ইডি ব্যাখ্যা দেয়,যে অফিসে তল্লাশি অভিযান চলছিল সেই সংস্থার কম্পিউটারে বসে মেয়ের হস্টেলের বিষয়ে খোঁজখবর করছিলেন এক ইডি আধিকারিক।


এর পর ফের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে ইমেল করে কলকাতা পুলিশ। সশরীরে লালবাজারে গিয়ে কোনও ইডি আধিকারিককে কারণ ব্যখ্য়া করতে বলা হয়। যদিও ED জানিয়ে দেয়, কোনও আধিকারিক লালবাজারে যাবেন না। বৃহস্পতিবার কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তুলে বিচারপতি অমৃতা সিন্হার এজলাসে আবেদন করে ইডি। তাঁদের অভিযোগ,জেনারেল ডায়েরির ভিত্তিতে ED-র আধিকারিকদের বারবার ডেকে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।


১৬টি ফাইল তদন্তে কোথাও ব্যবহার করা হবে না, বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে লিখিত প্রতিশ্রুতির পরেও চলছে হয়রানি। ইডির করা মামলার শুনানিতে এদিন বিচারপতি অমৃতা সিন্হা বলেন, ED যদি আদালতে বলেই থাকে যে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের কম্পিউটারে ডাউনলোড করা ১৬টি ফাইল তারা তদন্তে ব্যবহার করবে না তাহলে তো কোনও সমস্যাই নেই। 


তাহলে কলকাতা পুলিশ কেন ED কে বারবার চিঠি, ইমেল পাঠাচ্ছে? ED তো নির্দিষ্ট ওই কম্পিউটার বাজেয়াপ্তও করেনি, তাদের উদ্দেশ্য তো এখান থেকেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মন্তব্য করেন বিচারপতি অমৃতা সিন্হা। এরপরই তিনি মৌখিক নির্দেশ দেন, ফাইল সংক্রান্ত মামলায় কোনও তথ্য চেয়ে ই়ডিকে ইমেল বা চিঠি পাঠাতে পারবে না কলকাতা পুলিশ।