কলকাতা: TMCP, শিক্ষা দফতরের পর এবার ময়দানে নিখিলবঙ্গ অধ্যক্ষ পরিষদ। TMCP-র প্রতিষ্ঠা দিবসে থাকা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা পিছনোর দাবিতে সরব কলেজ অধ্যক্ষদের সংগঠন। যা নিয়ে শাসক দল তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল। যদিও সিদ্ধান্তে অনড় অন্তর্বর্তী উপাচার্য।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত দে, অধ্যক্ষদের দায়িত্ব পরীক্ষাটা নেওয়ার। উল্টে তাঁরাই বলছে। কারা রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট কারা?
বৃহস্পতিবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে BA, BSc, B.Com, B.A. LLB-এর চতুর্থ সিমেস্টারের পরীক্ষা। আবার সেদিনই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। এই প্রেক্ষাপটে পরীক্ষার দিন বদলানোর দাবিতে, বিভিন্ন দিক থেকে কার্যত চাপ তৈরি করা হচ্ছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্যর ওপর।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সরাসরি অন্তর্বর্তী উপাচার্যকে আক্রমণ করেছে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অভিরূপ চক্রবর্তী বলেন, 'এই বেআইনি রাক্ষসী উপাচার্য শান্তা দত্ত, নাম করে বলছি, রাজনৈতিক প্রভুদের সন্তুষ্ট করার জন্য ২৮ অগাস্ট পরীক্ষা ফেলেছে এবং এটা পুরোপুরি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে করা।'
শিক্ষা দফতরের তরফে কলকাতা বিশ্ববিদ্য়ালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু, তারপরও অন্তর্বর্তী উপাচার্য অবস্থানে অনড় থেকেছেন। এই প্রেক্ষাপটে এবার ময়দানে নামল কলেজের অধ্যক্ষদের সংগঠন, নিখিলবঙ্গ অধ্যক্ষ পরিষদ। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য ও মুখ্যমন্ত্রীকে এবিষয়ে চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি, এদিন সাংবাদিক বৈঠকও করেন পরিষদের সদস্যরা।
নিখিলবঙ্গ অধ্যক্ষ পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের অধ্যক্ষ মানস কবি বলেন, 'অধ্যক্ষদের বক্তব্য শোনা হয়নি। অপমানিত। পরীক্ষা ঠিকভাবে না নিতে পারলে দায় আমাদের ঘাড়ে পড়বে। দায় নেবে না।পরীক্ষার দিন বদল করতে হবে। উনি রাজনৈতিক প্রভাবিত।'
এদিকে বারুইপুর কলেজের অধ্যক্ষ চঞ্চল মণ্ডল বলেন, 'ক্যানিং-এর কোনও পড়ুয়া পরীক্ষা দিতে না পারলে কী হবে? দায় কার?' যদিও সিদ্ধান্তে অবিচল কলকাতা বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত দে বলেন, 'সিন্ডিকেট সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়েছে। পরীক্ষাটা পরীক্ষা। দিনবদল হবে না। সুষ্ঠুভাবে যাতে হয়, সবাইকে চিঠি লিখেছি। ৩০ হাজার পরীক্ষার্থী। অধ্যক্ষদের দায়িত্ব পরীক্ষাটা নেওয়ার। উল্টে তাঁরাই বলছে। কারা রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট কারা? বনধের দিনে কী করে সব সচল রাখে সরকার?'
রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য কেন বদলাবে বিশ্ববিদ্য়ালয়ের পরীক্ষা সূচি? এই প্রশ্নে সরব বিরোধীরাও।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থানে অনড় থাকলেও, পড়ুয়াদের অনুরোধের কারণ দেখিয়ে, পরীক্ষার দিন বদল করেছে বোলপুরের বিশ্ব বাংলা বিশ্ববিদ্যালয়।