কলকাতা: TMCP-র প্রতিষ্ঠাদিবসে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা। যা নিয়ে এবার সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সংঘাতে জড়াল  ঘোষিত কর্মসূচি, পরীক্ষা নিয়ে আপত্তি তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। পরীক্ষা দিতে হবে, সাফ জানাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

TMCP-র প্রতিষ্ঠা দিবসে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা রাখায় ঘোর আপত্তি জানাল তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন। ফেসবুকে লম্বা পোস্ট করে গোটা বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র ও দিল্লির ইশারায় চলা রাজনৈতিক অপকৌশল বলে নজিরবিহীনভাবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নিশানা করলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষেদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। প্রতি বছর ২৮ অগাস্ট সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিসব পালন করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। কলকাতার মেয়ো রোডে বড় করে সমাবেশও হয়। যেখানে মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। এবার ওই দিন অর্থাৎ ২৮ অগাস্ট, দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পরীক্ষা রয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ওইদিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস হওয়ায় আপত্তি জানিয়ে সংগঠনের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য লেখেন, "আজকের ছাত্র-যুব সমাজ যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিশ্বাসী, তাঁদের আটকে দেওয়ার জন্য এক গভীর ষড়যন্ত্র রচনা করা হয়েছে। আগামী ২৮ আগস্ট, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে হঠাৎ করে B.Com-এর ফোর্থ সিমেস্টার এবং B.A. LLB ফোর্থ সিমেস্টারের পরীক্ষা সূচি ঘোষণা করা হয়েছে এবং সময় দেওয়া হয়েছে ঠিক দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৫টা। এটি কোনও সাধারণ অ্যাকাডেমিক সিদ্ধান্ত নয়। এটি স্পষ্ট করে দেয়, ছাত্রছাত্রীদের গণতান্ত্রিক অধিকারে বাধা দেওয়া এবং দিল্লির ইশারায় চলা এক রাজনৈতিক অপকৌশল।'' কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য শান্তা দত্ত দে-কে 'বেআইনি অনুপ্রবেশকারী' বলে উল্লেখ করে TMCP-র রাজ্য সভাপতি লেখেন, নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য, এই বেআইনি অনুপ্রবেশকারী উপাচার্যর এমন আত্মকেন্দ্রিক পদক্ষেপ অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক, গণতন্ত্রবিরোধী এবং নিন্দনীয়।তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এই দাবিকেই পাল্টা অগণতান্ত্রিক বলে উল্লেখ করেছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য শান্তা দত্ত দে। তিনি বলেন, "বাজে অভিযোগ। এটা একটা দলগত অনুষ্ঠান হতে পারে। দল যদি আমাকে দেখতে হয়, রাজনৈতিক দল, তাহলে সবকটা দলের নানারকম অনুষ্ঠান প্রত্য়েকটা দেখে দেখে আমাকে পরীক্ষা ঠিক করতে হবে। দলীয় কোনও অনুষ্ঠান, আমাদের সেটাও বিচার করতে হবে, এটাই অগণতান্ত্রিক দাবি বলে আমি মনে করি। কোনও দলীয় স্বার্থে কোনওকিছুই আমরা করতে পারব না। এটা সরকারি ছুটি নয়। পরীক্ষা আছে, পরীক্ষা হবে।''