কলকাতা: খাস কলকাতায় ‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে মারধর? বাংলায় কথা বলায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কারমাইকেল হস্টেলের ছাত্রদের মারধরের অভিযোগ মারধরের অভিযোগ উঠল শিয়ালদার শিশির মার্কেটের ব্যবসায়ীদের একাংশের বিরুদ্ধে ছুরি, বন্দুকের বাঁট, হকি স্টিক দিয়ে পেটানোর অভিযোগ ছাত্রদের। 

আরও পড়ুন, বেহালার বকুলতলায় বৃদ্ধার রহস্যমৃত্যু, বাড়ির বারান্দা থেকে উদ্ধার হল অগ্নিদগ্ধ দেহ !

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ভিন রাজ্যগুলিতে বাংলাভাষীদের হেনস্থার অভিযোগে উত্তাল ছিল রাজ্য রাজনীতি। এবার খোদ রাজ্যের মাটিতেই উঠল বিস্ফোরক অভিযোগ।  জানা গিয়েছে, বাংলায় কথা বলার জেরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কারমাইকেল হস্টেলের ছাত্রদের মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। শেষ অবধি পাওয়া খবরে, আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন পড়ুয়া। আহতদের মধ্যে ২ জনের আঘাত গুরুতর। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে মুচিপাড়া থানার সামনে বিক্ষোভও দেখান পড়ুয়ারা। রাতে মুচিপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযুক্তপক্ষের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।

সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, 'বাংলা ভাষায় কথা বললেই ডিপোর্ট করে দিচ্ছে। বাঙালিদের ওপর অত্যাচার করবেন না। আমার এখান থেকে যাদের নিয়ে যাওয়া হয়, তাঁরা স্কিলড মজদুর। তাঁরা না থাকলে তাঁদের কাজ হবে না। দয়া করে নয়। আর আমাদের এখানেও জেনে রাখুন, দেড় কোটি ভিনরাজ্যের শ্রমিক কাজ করে। আমরা খুশি যারা কাজ করে। ভারতে যে যেখানে ইচ্ছে যেতে পারে। সে ইন্ডিয়ান সিটিজেন। যাকেই পারছে, বাংলা ভাষায় কথা বললেই বলে দিচ্ছে, বাংলাদেশি আর রোহিঙ্গা। কোথা থেকে এল রোহিঙ্গা ? রোহিঙ্গা তো মায়ানমার। তাঁরা বাংলাটা জানলো কোথা থেকে ? যারা বলছেন, একবার বুঝবেন না ? আর বাংলাদেশের সেই শেষ অধ্যায় ১৯৭১ মার্চ। যখন ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি হয়েছিল। যারা রিফিউজিরা এসেছিল , উদ্বাস্ত হয়ে। সব কিছু হারিয়ে আমাদের দেশে ফিরে এসেছিল। তাঁরা তো ভারতীয় নাগরিক। এখন আসতে পারে না। এখন আসতে না পারলেও, আমাদের অতিথি তো কয়েকজনকে রেখেছে ভারত সরকার। আমি কি না বলেছি ? তার কারণ রাজনৈতিক কারণ আছে। ভারত সরকারের অন্য কারণ আছে। পাশ্ববর্তী দেশ বিপদে পড়েছে। কই আমরা তো বলি না। তাহলে আপনারা কেন বলবেন, বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশি হয়ে গেল ?'

(খবরটি সম্প্রতি ব্রেক করা হয়েছে। বিস্তারিত কিছুক্ষণ পরই দেওয়া হচ্ছে। একটু পরে রিফ্রেশ করুন। জেলা থেকে শহর, দেশ, বিদেশ, বিনোদন থেকে খেলা, বিজ্ঞান থেকে প্রযুক্তি সহ অন্যান্য সমস্ত খবরের আপডেটের জন্য দেখতে থাকুন এবিপি আনন্দ ও এবিপি লাইভ)