কলকাতা: কলকাতা বিশ্ববিদ্য়ালয়ে ছাত্রী হস্টেলে রাতের অন্ধকারে ঢুকে পড়ল দুষ্কৃতী। চুরি গেল সামগ্রী। রাজা বাজার সায়েন্স কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রীর মোবাইল, মানিব্য়াগ চুরির অভিযোগ। হস্টেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।

অভিযোগ, রাজাবাজার সায়েন্স কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সায়ন্তনী চক্রবর্তী শুক্রবার হস্টেলে তিনতলার ঘরে একাই ছিলেন। খোলা ছিল ব্য়ালকনির দরজা। মাঝরাতে নিজের রুমে আচমকা দেখেন মাঝবয়সী এক ব্য়ক্তিকে। আবাসিক সায়ন্তনী চক্রবর্তী বলেন, "কালকে রাত্রিবেলা তিনটের সময় নিজের রুমে ঘুমোচ্ছিলাম। হঠাৎ করে দেখি একটা ট্রলি পড়ে গেল আমার। হঠাৎ করে একটা ট্রলি পড়ে যায়, সেই শব্দে আমার ঘুম ভেঙে যায়। উঠে দেখি অচেনা মধ্য়বয়স্ক লোক বসে আছে। বেরোনোর চেষ্টা করছিল। ছাড়াতে গেলে ধাক্কা মেরে চলে যায়।''ছাত্রীদের অভিযোগ, দেড়শো বছরের পুরনো এই হস্টেলের ব্য়ালকনির দিকে নিরাপত্তা ঢিলেঢালা। নেই সিসি ক্য়ামেরার নজরদারি। গাফিলতির কথা মেনে নিচ্ছেন হস্টেল সুপারও। হস্টেল সুপার ছায়ারানি মুর্মু বলেন, "আমি যখন খবর পেয়েছি,আমাকে বলেছে তখন মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করেছি, চোর কোথায় এখন?চোর বলছে পালিয়ে গেছে। তারপর আমার কাছে গেছে। সিকিউরিটিদের নিয়ে আমরা দেখলাম কোথা দিয়ে এসেছিল চোর। আমি স্য়রদের এটাই জানাব যে সিকিউরিটির মাধ্য়মে নিরাপত্তা আমরা পাচ্ছি না।  কলকাতা বিশ্ববিদ্য়ালয়ের ওই হস্টেলে প্রায় ৪০ জন আবাসিক রয়েছেন। এই ঘটনায় আতঙ্কে অন্যান্যরাও। আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ। দ্বিতীয় বর্ষের এক পড়ুয়া রুশালি মজুমদারের অভিযোগ, "ব্য়ালকনির দরজা পুরোপুরি আটকায় না। ভাঙা একটা দরজা। দরজা কোনওভাবেই লক করা যায় না। পিছন দিকে কোনও সিসিটিভি ক্য়ামেরাও নেই যে দেখা যাবে কিছু।'' এই ঘটনায় ছাত্রীদের নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখিয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অভিরূপ চক্রবর্তী বলেন, "হস্টেলের মধ্য়ে নারীরা সুরক্ষিত নয়। গার্লস হস্টেলে সিসিটিভি নেই। একটি গার্লস হস্টেলে একটি পুরুষ কীভাবে রেলিং বেয়ে দোতলা অবধি প্রবেশ করল?'' এর আগে গত জুন মাসে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গার্লস হস্টেলে লোহার বিম ভেঙে বিপত্তি। বিডন রো-তে ১৮৫৭ সালে তৈরি ১৬০ বছরের পুরনো বিল্ডিংয়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে। আবাসিকরা দাবি করেন, লোহার বিম ভেঙে পড়ার সময় ঘরে ২ জন ছাত্রী ঘুমোচ্ছিলেন। অল্পের জন্য তাঁরা রক্ষা পান। হস্টেলের ৭৫ জন ছাত্রীকে স্থানান্তরিত করা হয়।