ঝিলম করঞ্জাই ও সন্দীপ সরকার, কলকাতা : রাজ্যে আচমকা ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত, লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ১৬ জেলায় ২০ দিনে নতুন করে ডেঙ্গি আক্রান্ত ১৬৩৩। কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩২৮ । গত ২৪ জুন রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৭৬১, ১৩ অগাস্ট বেড়ে হল ৪৩৯৪। বাড়বাড়ন্তের তালিকায় উত্তরবঙ্গের একমাত্র জেলা মালদা, বাকি ১৫ জেলা দক্ষিণবঙ্গের। 

আরও পড়ুন, চাকরি হারিয়ে 'মানসিক চাপে ছিলেন', স্বাধীনতা দিবসের সকালে SSC-র চাকরিহারা শিক্ষকের মৃত্যু !

রাজ্যের ৬ জেলায় ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত, পরিসংখ্যান স্বাস্থ্য দফতরের।মুর্শিদাবাদ, উঃ ২৪ পরগনা, হুগলি, মালদা, হাওড়া, কলকাতা ও বাঁকুড়ায় বাড়ছে সংক্রমণ। ডেঙ্গি আক্রান্তে শীর্ষে মুর্শিদাবাদ, নতুন আক্রান্ত ৩৮২, মোট আক্রান্ত ৮৫১ ।

রাজ্যের অন্যান্য জেলাগুলিতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা :

উত্তর ২৪ পরগনা: নতুন আক্রান্ত ২৮৯, আক্রান্ত বেড়ে ৭২৬হুগলি: নতুন আক্রান্ত ১৩১, আক্রান্ত বেড়ে ৪১৯মালদা: নতুন আক্রান্ত ১১১, আক্রান্ত বেড়ে ৩৭২হাওড়া: নতুন আক্রান্ত ৮৩, আক্রান্ত বেড়ে ৩৪২কলকাতা: নতুন আক্রান্ত ১২৯, আক্রান্ত বেড়ে ৩২৮ বাঁকুড়া: মোট আক্রান্ত ২৪১ দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মোট আক্রান্ত ২১০নদিয়া: মোট আক্রান্ত ১৯০ পূর্ব বর্ধমান: মোট আক্রান্ত ১৮৯ পশ্চিম বর্ধমান: মোট আক্রান্ত ১৫৪পশ্চিম মেদিনীপুর: মোট আক্রান্ত ১২৬পূর্ব মেদিনীপুর: মোট আক্রান্ত ৯২ঝাড়গ্রাম: মোট আক্রান্ত ৭৬ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলা: আক্রান্ত ৬৩নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলা: মোট আক্রান্ত ১৫

গত এক মাসে, মেঘ-বৃষ্টির খামখেয়ালিপনায় রাজ্য জুড়ে জায়গায় জায়গায় জমছে জল, আর তাতেই জন্মাচ্ছে ডেঙ্গির মশার লার্ভা। গত বৃহস্পতিবার, মৃত্যু হয়েছে বেহালার পর্ণশ্রীর বাসিন্দা এক ডেঙ্গি আক্রান্তের। ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্য়ুর কারণ হিসেবে উল্লেখ রয়েছে ডেঙ্গির।উদ্বেগের বিষয় হল, চিকিৎসক মহলের একাংশের দাবি, আক্রান্তদের বেশিরভাগই ভুগছেন টাইপ টু ডেঙ্গিতে।যা অন্যান্য সেরোটাইপের তুলনায় বেশি মারাত্মক। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ  কাজলকৃষ্ণ বণিক বলেছেন,'বেশিরভাগই হচ্ছে ডেঙ্গি টাইপ টু। এটা কিন্তু আশঙ্কার। এটা বেশি ছড়ায়।'

স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২ সালে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হন ৬৭ হাজার ২৭১ জন। ২০২৩ সালে রাজ্য়ে ডেঙ্গি সংক্রমণ ভেঙে দেয় ১২ বছরের রেকর্ড। ওই বছর রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হন প্রায় ১ লক্ষ ৭ হাজার জন। তার পরের বছর আক্রান্ত হন ৩১ হাজার ১০০ জন। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ  সংযুক্তা দে বলেন,ডেঙ্গি যাদের হচ্ছে হাই গ্রেড ফিবার নিয়ে আসছে। ৩ দিনের বেশি হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কোনওভাবেই যেন অ্যান্টিবায়েটিক খেতে না থাকে আগের থেকে সব মিলিয়ে, এখন ডেঙ্গিকে কীভাবে বাগে আনা যায়, সেই চেষ্টাই চলছে রাজ্য জুড়ে।