কলকাতা: টক টু মেয়রে (Talk To mayor) অভিযোগ করায় বাড়িতে ঢুকে মারধর, শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে খাস কলকাতায়। ঢাকুরিয়ায় (Dhakuria) বাড়িতে ঢুকে ক্যারাটেকাকে মারধর, শ্লীলতাহানির অভিযোগ । ক্যারাটেকা পরিবারকেও হুমকি, বাড়িতে হামলার অভিযোগ তৃণমূলকর্মীদের (TMC Worker) বিরুদ্ধে । লেক থানায় অভিযোগ দায়ের করে ফেরার সময়ও রাস্তা আটকে হামলার অভিযোগ। বাড়ির সামনে রাস্তা আটকে হামলার অভিযোগ। মণিপুরের মতো পরিণতি হবে, হুমকিও দেয় তৃণমূলকর্মীরা, অভিযোগ ক্যারাটেকার। অভিযোগকারী ক্যারাটেকা পরিবারের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ অভিযুক্তদের । 'অন্য ফ্ল্যাটের প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিবাদ, মেটাতে গেলে আমার মাকেই চড় তরুণীর মায়ের' । অভিযোগকারী ক্যারাটেকা পরিবারের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ অভিযুক্তদের । পরস্পরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দুই পরিবারের, তদন্তে পুলিশ। 


মালদায় দুই মহিলাকে মারধর: এ দিনই মালদায় দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর, জুতোপেটা করার অভিযোগ ওঠে উন্মত্ত জনতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি মঙ্গলবার ঘটেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। চুরির অভিযোগে দুই মহিলাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে দাবি দুই নির্যাতিতার পরিবারের। পরিবারের দাবি, হাটে লেবু বিক্রি করতে গিয়েছিলেন দুই জা। সেইসময় চোর সন্দেহে তাঁদের বিবস্ত্র করে মারধর করা হয়। উল্টে দুই নির্যাতিতাকেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে পরিবারের দাবি। এই নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করেছে বিজেপি। অমিত মালব্যর ট্যুইট থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর আক্রমণ করেন রাজ্য সরকারকে। পাল্টা রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী শশী পাঁজার দাবি, হাটের মধ্যে দুই মহিলার সঙ্গে অন্য মহিলাদের গন্ডগোল বাধে। এই ঘটনায় জোর করে রাজনৈতিক রং লাগানো হচ্ছে বলে রাজ্যের মন্ত্রীর দাবি। 


রাজনৈতিক তরজা: এই ঘটনায় ট্যুইট করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ পর্যবেক্ষক ও আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। ট্যুইটে তিনি লেখেন, পশ্চিমবঙ্গে সন্ত্রাস অব্যাহত। দুই আদিবাসী মহিলাকে নির্দয়ভাবে বিবস্ত্র করে মারধর, নির্যাতনের সময় পুলিশের ভূমিকা ছিল নীরব দর্শকের। ১৯ জুলাই সকালে এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটে। ওই মহিলারা সমাজের প্রান্তিক শ্রেণির। উন্মত্ত জনতা তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এই ঘটনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হৃদয়বিদারক হলে তিনি এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারতেন, কারণ তিনি বাংলার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু তিনি কিছুই করতে চাননি। তিনি বর্বরতার নিন্দা করেননি, শোক বা যন্ত্রণাও প্রকাশ করেননি। কারণ তাহলে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর ব্যর্থতা প্রমাণ হবে। 


সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বৃন্দা কারাত জানিয়েছেন, মালদার সঙ্গে মণিপুরের ঘটনার তুলনা করা উচিত নয়। দেশের যে কোনও প্রান্তে মহিলাদের ওপর নির্যাতন নিন্দনীয়। পশ্চিমবঙ্গে যেখানে আদিবাসী মহিলারাই আদিবাসী মহিলাদের মারছেন, তা নিন্দনীয়। বাংলায় যে আইন শৃঙ্খলা নেই, এটা তার প্রমাণ।