কলকাতা: সায়েন্স সিটির (Science City) এক অনুষ্ঠানে রাজ্যের শিক্ষার পরিবেশ নিয়ে কড়া সমালোচনা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Governor Jagdeep Dhankhar)। তিনি ওই অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় বলেন, "রাজ্যের শিক্ষার পরিবেশ দেখে রাতে ঘুম আসে না।'' রাজ্যপালের অভিযোগ, তাঁকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে কম আমন্ত্রণ জানানো হয়। তাঁকে উপাচার্যরা এড়িয়ে চলেন বলেও অভিযোগ করেছেন রাজ্যপাল।


শিক্ষার পরিবেশ নিয়ে সরব রাজ্যপাল: এদিন তিনি বলেন, "রাজ্যের সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা এড়িয়ে চলেন।'' একইসঙ্গে ইউনিয়ন নিয়েও সরব হয়েছেন তিনি। রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত নতুন কিছু নেই। এর আগেও শিক্ষা ব্য়বস্থা সহ রাজ্য়ের একাধিক বিষয়ে তরজায় জড়িয়েছেন রাজ্যপাল। এমনকী একাধিকবার তিনি অভিযোগ করেছেন উপাচার্যদের ডেকে পাঠানো হলেও তাঁরা দেখা করতে আসেননি। শুধু তাই নয়, এই বিষয় নিয়ে একাধিকবার ট্যুইট করেও সরব হয়েছেন রাজ্যপাল। গত ডিসেম্বর মাসে একেবারে সরাসরি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বাকযুদ্ধে জড়ান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। 


দিনকয়েক আগে বিধায়ক হিসেবে বাবুল সুপ্রিয়র (Babul Supriyo) শপথগ্রহণ নিয়েও রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের পরিস্থিতি হয়। শপথগ্রহণ সংক্রান্ত ফাইল পরিষদীয় দফতরে ফেরত পাঠান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। তা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, "শপথগ্রহণ করাতে সাংবিধানিকভাবে দায়বদ্ধ রাজ্যপাল। এ ব্যাপারে কোনও শর্তও দিতে পারেন না তিনি।"


সম্প্রতি বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন বাবুল।  নিয়ম মাফিক তাঁর শপথ গ্রহণের আয়োজন করে রাজ্যই। সেই মতো প্রথমে বিধানসভার অধ্যক্ষ চিঠি দেন পরিষদীয় দফতরে। তার পর পরিষদীয় দফতর থেকে চিঠি যায় রাজভবনে। তাতে রাজ্যপালকে অনুরোধ জানানো হয় যে, হয় তিনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে শপথবাক্য পাঠ করান, নয়ত বা অন্য কাউকে সেই দায়িত্ব অর্পণ করুন। সাধারণত ওই চিঠিতে সই করে দেন রাজ্যপাল। তার পর নির্ধারিত দিনে শপথগ্রহণের দিন ঠিক হয়। কিন্তু বাবুলের শপথগ্রহণের সেই চিঠিই ধনকড় ফিরিয়ে দিয়েছেন।


আরও পড়ুন: West Midnapore News: তালা বন্ধ ক্লাসরুম, বারান্দায় বসে পরীক্ষা ক্ষুদে পড়ুয়াদের