সৌমেন চক্রবর্তী, অলোক সাঁতারা, পশ্চিম মেদিনীপুর: ক্লাস রুমের তালা বন্ধ। তাই পশ্চিম মেদিনীপুরের এক স্কুলে, বারান্দায় বসে মিড টার্ম পরীক্ষা দিতে হল প্রাথমিকের ক্ষুদে পড়ুয়াদের। আজ সকালে এই ঘটনা ঘটেছে মেদিনীপুর শহরের একটি হাইস্কুলে। এই হাইস্কুল চত্বরেই রয়েছে প্রাথমিক স্কুল। অভিভাবকদের অভিযোগ, হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ সকালে ক্লাসরুমের তালা খোলেনি। তার জন্য বারান্দায় বসে পরীক্ষা দিতে হয় প্রাথমিকের পড়ুয়াদের।


বারান্দায় বসে পরীক্ষা ক্ষুদে পড়ুয়াদের: তাপমাত্রা চল্লিশ ছুঁইছুঁই। তার উপর তাপপ্রভাব। অসহ্য গরমের মধ্যে স্কুলের বারান্দায় বসেই পরীক্ষা দিতে হল প্রাথমিকের পড়ুয়াদের। এই ঘটনাকে ঘিরেই শুক্রবার তুমুল উত্তেজনা ছড়াল মেদিনীপুরের একটি স্কুলে। হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে চড়াও হলেন অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দারা। সূত্রের খবর, একই স্কুলে সকাল ৬টা থেকে প্রাথমিকের ক্লাস শুরু হয়।  সাড়ে ১০ থেকে শুরু হয়, উঁচু ক্লাসের পড়াশোনা। কিন্তু অভিযোগ, এদিন ক্লাসরুম বন্ধ থাকায় প্রাথমিকের পড়ুয়ারা বারান্দায় বসেই পরীক্ষা দিতে বাধ্য হয়। এরজন্য হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষককেই দায়ী করেছেন প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা।


প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অদিতি কর্মকার বলেন, “আজ থেকে পরীক্ষা শুরু হয়েছে, নিরুপায় দেখে বারান্দায় পরীক্ষা নিচ্ছি। হেড মাস্টারকে ফোন করেছিলাম চাবি চাওয়ার জন্য, তিনি ফোন কেটে দিয়েছেন।‘’ পাল্টা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সুমিত কুমার ঘোষের দাবি, “আমি জানতামই না ওদের পরীক্ষা চলছে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছিল বলে বন্ধ আছে। ওরা আমাকে হেনস্থা করেছে।‘’


খবর পেয়ে স্কুলে পৌঁছন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর। এরপর প্রধান শিক্ষকের বড়িতে চড়াও হন, অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দারা। ছিলেন কাউন্সিলরও। এরপর স্কুলে আসেন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক। তখন আরেক দফা উত্তেজনা ছড়ায়। সেখানে তাঁকে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ তুলেছেন প্রধান শিক্ষক। মেদিনীপুর পুরসভার চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় খুলে দেওয়া হয় ক্লাসরুমের তালা। যদিও ততক্ষণে প্রাথমিকের পরীক্ষা প্রায় শেষের দিকে। পশ্চিম মেদিনীপুরের স্কুল পরিদর্শক জানিয়েছেন, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। বিষয়টি বিস্তারিত জানার জন্য প্রতিনিধিকে স্কুলে পাঠানো হয়েছে।


আরও পড়ুন: Pashchim Bardhaman: ফাঁকা বাড়ির সুযোগে চুরি ইসিএলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মীর বাড়িতে, আতঙ্কে পরিবার