ক্যানিং: দিনহাটার পর এবার ক্যানিং, হাসপাতালেই অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। বহিরাগতদের সঙ্গে এনে হাসপাতালেই খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। ডিউটি করতে নিরাপত্তাহীনতার কথা উল্লেখ করে CMOH-কে চিঠি দিলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার। 


অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকে হুমকি: হাসপাতালে ঢুকে ডাক্তারকে তৃণমূল নেতাদের শাসানি। দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালের এই ছবি সামনে আসার পর ফের উঠেছে থ্রেট কালচারের অভিযোগ। এবার আরও মারাত্মক অভিযোগ উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার সৌরভকুমার দাসের অভিযোগ, তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্য ও বহিরাগতদের নিয়ে এসে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন হাসপাতালের চুক্তিভিত্তিক সাফাইকর্মী এবং নিরাপত্তা রক্ষীদের একাংশ। অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারের অভিযোগ, ডিউটি রস্টারে রদবদল হলেও চুপ করে থাকা, কাউকে না জানিয়ে একজনের ডিউটি অপরজন করা, কাজে না এলেও বেতনের বিলে সই করা, ওয়ার্ডে আয়াকে ঢুকতে দেওয়ার মতো. একাধিক ক্ষেত্রে চাপ সৃষ্টি করা হয় তাঁর ওপরে। কিন্তু মাথানত না করায় এদিনের হুমকি।


কী অভিযোগ?                        

সৌরভকুমার দাস বলেন, "৭-৮ মাস ধরে সিকিউরিটি স্টাফের রস্টারটা আমি চাইছিলাম। পাচ্ছিলাম না। কারণ সেটা দেখে বিল সই করতে হয়। আমরা যেটা করে থাকি, সেটাতে অনেক বদল হচ্ছে। সেটা নিয়ে বার বার অবজেকশন জানিয়েছিলাম। বলেছিলাম সই করব না। আজ দেড় মাস হল আয়া বন্ধ করে দেব। আমি বলেছিলাম আয়া মাসিকে বেরিয়ে যেতে। তাদের এটা বক্তব্য সই করবেন না কেন।''

এই পরিস্থিতিতে এদিন জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি। অভিযোগকারী অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার সৌরভকুমার দাসের মুখে যে তন্ময় দাসের নাম উঠে আসছে, তিনি স্থানীয় দীঘীরপার গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্য ও ক্যানিং পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক পরেশরাম দাসের পরিচিত বলে স্থানীয় সূত্রে দাবি। যদিও এদিন ফোনে যোগাযোগ করা হলেও ফোন ধরেননি তন্ময় দাস। এই ঘটনায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, একটা অভিযোগ পেয়েছি। খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কী ঘটেছে তার খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।     


আরও পড়ুন: Calcutta High Court: তারিখ পরিবর্তন, CID নোটিসে হাজিরা দিতেই হবে অর্জুনকে; নির্দেশ হাইকোর্টের