শান্তনু নস্কর, ক্যানিং: নাম বুলেট ! আছে তার ভিজিটিং কার্ড। কী তার পরিচয়? সুপারি কিলার ! এমনটাই দাবি ছিল তার কার্ডে। কার্ডের ছবি প্রকাশ্যে আসতেই তল্লাশি চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল ক্যানিং থানার পুলিশ। কে এই বুলেট ? কেনই বা এমন ভিজিটিং কার্ড ? সত্যিই কি সুপারি কিলিং করত এই ব্যক্তি ?
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের ঘটনা। মানুষ হাফ মার্ডার ও ফুল মার্ডার করা হয়। এই দাবি করে, নাম ফোন নম্বর দিয়ে রীতিমতো ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়েছিল ধৃত বুলেট ! কার্ডের একপাশে রয়েছে, নিজেকে সুপারি কিলার বলে দাবি করা বুলেট ওরফে মোরসেলিম মোল্লার ছবি, আরেক পাশে, আগ্নেয়াস্ত্র হাতে তার ছবি ! সুপারি কিলিংয়ের অর্ডার নেওয়ার জন্য দেওয়া হয়েছে ফোন নম্বরও!
কে এই বুলেট ? তাঁর অতীত রেকর্ডই বা কী ? জানা যাচ্ছে, গত বছর সাত জুলাই, ক্যানিংয়ের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দিনে-দুপুরে গুলি করে-কুপিয়ে হত্যা করা হয় ৩ তৃণমূল নেতাকে। পুলিশ সূত্রে খবর, সেই খুনের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল বুলেটকে। কিন্তু সেসময় নাবালক থাকায় ছাড়া পেয়ে যায় সে। সেবছরই, বেআইনি অস্ত্র পাচারের অভিযোগে পাকড়াও করা হয়েছিল তাকে।
স্থানীয়দের দাবি জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর থেকেই কার্যত এলাকার মানুষকে মাঝে মধ্যেই ভয় দেখাতো এই অভিযুক্ত। গত কয়েকদিন ধরে মানুষ খুন করার জন্য সুপারি নেওয়ার বিজ্ঞাপন দিতে শুরু করে সে।
পুলিশ জানিয়েছে, বিগত দু তিন ধরেই এলাকার বিভিন্ন সুত্র মারফৎ এই ভিজিটিং কার্ডের খবর মিলছিল। পাশাপাশি সোমবার ক্যানিংয়ের ধর্মতলা এলাকা সহ আশপাশের বেশ কয়েকটি জায়গায় এ সম্পর্কে পোস্টার ও পড়ে। বিষয়টি জানতে পেরেই ক্যানিং থানার বিশেষ তদন্তকারী দল সাব ইন্সপেক্টর রঞ্জিত চক্রবর্তীর নেতৃত্বে সোমবার দুপুরে হানা দেয় ধর্মতলা গ্রামে। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় নিজের অভিযোগ শিকার করেছে অভিযুক্ত। ধৃতের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্রের পাশাপাশি ভিজিটিং কার্ডও উদ্ধার হয়েছে।
এই ভিজিটিং কার্ড হাতে আসতেই তল্লাশি চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ক্যানিং থানার পুলিশ। মঙ্গলবার ক্যানিংয়ের ধর্মতলা গ্রামে তল্লাশি চালিয়ে মোরসেলিম মোল্লা ওরফে বুলেটকে পাকড়াও করে পুলিশ। ধৃতের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও দু রাউন্ড কার্তুজ। যদিও ধৃতের মায়ের দাবি, এসব কিছুই করে না ছেলে।