কলকাতা: বছরের শেষ দিনও দুর্ঘটনার (accident) সাক্ষী থাকল মহানগর (kolkata)। ময়দানের কাছে ক্যাসুরিনা অ্যাভিনিউয়ে একটি গাছে (tree) ধাক্কা মেরে উল্টে গেল বেপরোয়া গাড়ি (car)। আহত গাড়ির দুই যাত্রী।


কী ঘটেছিল?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি কোলাঘাট থেকে আসছিল। কোনও কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা মেরে উল্টে যায় সেটি। কোনওক্রমে ভিতর থেকে চালক ও আরোহী বেরিয়ে আসেন। গাড়ির এয়ারব্যাগ খুলে যায়। তবে গাড়ির গতিবেগ বেশি থাকাতেই এই দুর্ঘটনা, প্রাথমিক ভাবে মনে করছে ময়দান থানার পুলিশ। কিন্তু চালক মত্ত ছিলেন কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাজ্যের নানা প্রান্তে দুর্ঘটনা নতুন কিছু নয়। গত মঙ্গলবারই যেমন ভুবনেশ্বর এমস থেকে ফেরার পথে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় পড়ে অ্যাম্বুল্যান্স। মারা যান রোগী। জখম বন অ্যাম্বুল্যান্সের চালক-সহ মোট ছয় জন। মৃত রোগী এবং আহতরা পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের বাসিন্দা। আহতদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ওই দিন সকালেই আরও একটি দুর্ঘটনার কথা সামনে আসে। তার জন্যও ঘন কুয়াশা এবং দৃশ্যমানতা কমে যাওয়াকে দায়ী করা হয়। কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদে বাস-লরির মুখোমুখি সংঘর্ষ বাধে। সেই দুর্ঘটনায় বাস চালকের মৃত্যু হয়। আহত হন নয়জন বাসযাত্রী। আহতদের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বেসরকারি বাসটি উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর থেকে বহরমপুর যাচ্ছিল। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ উল্টোদিক থেকে আসা লরির সঙ্গে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ দুর্ঘটনার পর লরির চালক পলাতক। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাস এবং লরিটি দু'টি দ্রুত গতিতে চলছিল। কুয়াশায় চারিদিক ঢাকা ছিল। কিছু দেখা যাচ্ছিল না। ফলে মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। এতটাই তীব্র ছিল এই ধাক্কা যে, বাসের সামনের অংশ তুবড়ে যায়। বাস এবং লরিটিতে কোনও যান্ত্রিক গোলযোগ ছিল কিনা খতিয়ে দেখে পুলিশ। তার মধ্যে ফের এই ঘটনা।


বর্ষশেষে নজরদারি...
আজ বর্ষশেষ ও বর্ষবরণ উপলক্ষ্যে কলকাতাজুড়ে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। ৩১ ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারির জন্য কয়েক হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন। শহরকে ১০টি সেক্টরে ভাগ করে নজরদারি চালানো হবে।
নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন ডিসি পদ মর্যাদার অফিসাররা।  শহরজুড়ে থাকছে ৫৮টি পিসিআর ভ্যান। ২৩টি পিসিআর ভ্যান থাকবে পার্ক স্ট্রিট চত্বরে। ২টি ক্যুইক রেসপন্স টিমকে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। ৩১ ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারি, পার্ক স্ট্রিট চত্বরে ১১টি ওয়াচ টাওয়ার থেকে নজরদারি চালানো হবে। শহরজুড়ে থাকছে ১৫টি পুলিশ অ্যাসিস্ট্যান্স বুথ, ৯৭টি নাকা পয়েন্ট। পার্ক স্ট্রিট ও মিডলটন রো-য়ে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে ২টি স্পেশাল কিউআরটি
ড্রোনের মাধ্যমে শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে নজরদারি চালাবে পুলিশ।


আরও পড়ুন:বাড়তি টাকা দিতে হয় না, সকাল থেকে রাত, বন্দে ভারতের মেনু নজরকাড়া