অমিতাভ রথ, ঝাড়গ্রাম: নির্ধারিত সময়েই দুর্গাপুজো (durga puja) কার্নিভাল (carnival) শুরু হল ঝাড়গ্রাম (jhargram) জেলায়। ঝাড়গ্রামের ১০ পুজো কমিটি এই কার্নিভালে অংশগ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। সব মিলিয়ে উৎসবের আমেজ।
কার্নিভালের মেজাজে ঝাড়গ্রাম...
ঝাড়গ্রাম শহরের গৌড়ীয় মঠ চত্ত্বর মেন রোডের সামনে থেকে কার্নিভাল শুরু হয়ে পাঁচ মাথার মোড়ে শেষ হবে। জেলা প্রশাসনের কর্তাদের জন্যে সেখানেই মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। তবে এখানে প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য কোনও নির্দিষ্ট জায়গা নেই। পুজো কর্তৃপক্ষ নিজেদের খুশিমতো জায়গায় প্রতিমা নিরঞ্জন করবেন। কার্নিভাল উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হয়েছিল যা কিনা পুরোদমে চলছে। সংস্কৃতিক দল ঢোল, ধামসার তালে শহরের পাঁচমাথার মোড় মাতিয়ে রেখেছেন। ইতিমধ্যে ভিড় জমেছে দর্শনার্থীদের। পুজো চলে গেলেও উৎসবের মেজাজ এখনও ভরপুর শহরে। এদিকে আগামিকাল কলকাতায় পুজো কার্নিভাল। সে জন্য প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে।
তৈরি হচ্ছে কলকাতা...
শনিবার বিকেল চারটের সময় শুরু হবে পুজোর কার্নিভাল। পুলিশের ডেয়ার ডেভিল বাহিনীর স্টান্ট দিয়ে প্যারেড শুরু হবে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, পুজো কমিটি পিছু ঢাকি, শিল্পী-সহ ৫০ জনের বেশি প্রতিনিধি থাকতে পারবেন না কার্নিভালে।কোনওরকম বাজি ফাটানো যাবে না। কার্নিভালের জন্য পুজো কমিটি পিছু তিনটি করে ট্রেলার দেওয়া হবে।এর থেকে কোনও বেশি ট্রেলার কোনও কমিটি আনতে চাইলে, প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে। অনুমতি পেলে অতিরিক্ত ট্রেলার ব্যবস্থা নিজেকেই করতে হবে। সেক্ষেত্রে চালকের নাম ও ফোন নম্বর সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকে জানাতে হবে।১৬ ফুটের বেশি উচ্চতা সম্পন্ন প্রতিমার গাড়িগুলি কেপি রোড ও হসপিটল রোড হয়ে, লাভার্স লেন দিয়ে বেরোবে। ১৬ ফুটের কম উচ্চতার প্রতিমার গাড়িগুলি সরাসরি হেস্টিংস হয়ে কেপি রোড ধরবে। তবে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর, এবছর কার্নিভালে অংশ নিচ্ছে না স্মৃতিবিজড়িত একডালিয়া এভারগ্রিন। এবারের কার্নিভালে নাচ করার কথা ছিল সৌরভ-পত্নী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের। কিন্তু চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার পর গত কালই বাড়ি ফিরেছেন তিনি। ফলে নিজে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। কিন্তু তাঁর শ-তিনেক ছাত্রছাত্রী আগামিকালের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন। তাঁদের চূড়ান্ত মহড়ায় এসেছিলেন ডোনা। মন খারাপ থাকলেও তাঁর ছাত্রছাত্রীরা যে অংশ নিচ্ছেন, এটা ভেবেই খুশি তিনি।
আরও পড়ুন:'অনেক শিশু ভেসে যাচ্ছিল, আমার বাচ্চাটার মুখটা মনে পড়ে, আর কিছু না ভেবে ঝাঁপ দিয়েছি'