প্রকাশ সিনহা ও সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : হালিশহর পুরসভার (Halishara Municipality) চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা রাজু সাহানি গ্রেফতার করল সিবিআই। চিটফান্ড মামলায় তৃণমূল (TMC) নেতাকে গ্রেফতার করল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, বর্ধমান সন্মার্গ কো-অপারেটিভ চিটফান্ড মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যানের নিউটাউনের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে আনুমানিক ৮০ লক্ষ টাকা উদ্ধার। টাকা গোণার কাজ এখনও চলছে বলেই জানা গিয়েছে। সিবিআই-র দাবি, শুধু বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থই নয় রাজু সাহানির বাড়ি থেকে খোঁজ মিলেছে তাইল্যান্ডের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেরও। যেখানে টাকা পাঠানোর তথ্যও সামনে উঠে এসেছে বলেই সিবিআই (CBI) সূত্রে খবর। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্রও। কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির নথি মিলেছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। এত টাকা নগদ কোথা থেকে এল? কেনই বা বাড়িতে এত টাকা নগদ রেখেছিলেন, সেসব প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি তৃণমূল নেতা। সূত্রের দাবি, তারপরেই গ্রেফতার করা হয় তৃণমূল পরিচালিত হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যানকে।
সিবিআই সূত্রে খবর, বর্ধমান সন্মার্গ কো-অপারেটিভ চিটফান্ড মামলার (বর্ধমান সন্মার্গ ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন) তদন্ত করতে নেমে একাধিক জায়গায় তৃণমূল নেতা তথা হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যানের নাম পায় তাঁরা। বিভিন্ন জায়গায় উল্লেখ ছিল, একাধিকবার রাজু সাহানির কাছে পাঠানো হয়েছিল প্রচুর পরিমাণ অর্থ। জানা যাচ্ছে, কশ্যান মানি হিসেবেই এই অর্থ পাঠানো হয়েছিল তাঁকে।
রাজু সাহানি
বিভিন্ন সূত্রে রাজু সাহানির নাম পেয়ে শুক্রবার সকালেই তাঁর হালিশহরের বাড়িতে হানা দেন সিবিআই তদন্তকারীরা। যার পর জেরা এগোনোর পর হালিশহরের তৃণমূল নেতাকে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর নিউটাউনের ফ্ল্যাটে। যেখানে বেশ কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর শুরু হয় তল্লাশিপর্ব। যেখান থেকে ৮০ লক্ষ নগদ, আগ্নেয়াস্ত্র, তাইল্যান্ডের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি উদ্ধার হয়। রাজু সাহানিকে জেরা করে সিবিআই জানতে চাইছে, আর কোন প্রভাবশালীর কাছে পৌঁছেছিল টাকা।
‘বর্ধমান সানমার্গ ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন’ চিটফান্ড মামলায় এর আগে বর্ধমান পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ও তৃণমূল নেতা প্রণব চট্টোপাধ্যায় ওরফে খুদু-কে গ্রেফতার করে CBI। দিন ১৫ আগে তিনি জামিন পান।