কলকাতা: বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যর বাড়িতে গেল সিবিআই। ৫ জানুয়ারি ইডির উপর হামলার ঘটনার তদন্তে শঙ্করের বাড়িতে সিবিআই। ফরেন্সিক টিম ও কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বাড়ি ঘিরল সিবিআই।


শেখ শাহজাহানের বাড়ির পর শঙ্কর আঢ্যর বাড়িতেও লেজার স্ক্যানারের ব্যবহার সিবিআইয়ের। ৫ জানুয়ারি কী হয়েছি, জানতে বনগাঁ পুরসভার বর্তমান গোপাল শেঠের বাড়িতে সিবিআই। 


সন্দেশখালিতে ED আধিকারিকদের ওপর হামলার দিনই বনগাঁতেও শঙ্কর আঢ্যের বাড়ির সামনে হামলার মুখে পড়ে কেন্দ্রীয় সংস্থার অফিসাররা। তৃণমূল নেতাকে নিয়ে গাড়িতে তোলার সময় শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি।


এমনকি ইট ছুড়ে ভেঙে ফেলা হয় কেন্দ্রীয় এজেন্সির গাড়ির কাচ। তারই তদন্তে এদিন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি ঘটনার দিন উপস্থিত থাকা দুই ED অফিসারকেও ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। 


শঙ্কর আঢ্যর বাড়িতে গিয়ে তদন্তকারীরা প্রথমে কথা বলেন তৃণমূল নেতার স্ত্রী জ্যোৎস্না র সঙ্গে। এদিন তাঁর বাড়ির গেটের দৈর্ঘ্য মেপে দেখেন তদন্তকারীরা। ঘটনার দিন যে রাস্তার সামনে শঙ্কর আঢ্যর অনুগামীরা জড়ো হয়েছিলেন, এদিন সেই রাস্তার দৈর্ঘ্যও মেপে দেখেন বিশেষজ্ঞরা।                                                                                 


ঘটনাস্থলের কাছেই তৃণমূল পরিচালিত বনগাঁ পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান গোপাল শেঠের বাড়ি। তাঁর বাড়িতে লাগানো CC ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখতে চান কেন্দ্রীয় বাহিনীর গোয়েন্দারা। 


আরও পড়ুন, দিলীপ-গড়ে প্রার্থী জুন, 'সুন্দর মুখ দেখে কী আর...' কটাক্ষ বিজেপি নেতা


সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তে এবার CBI-এর মুখোমুখি হলেন শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল প্রধান। সরবেড়িয়া-আগারহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান জিয়াউদ্দিন মোল্লা-সহ কয়েকজনকে আজ নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, সন্দেশখালিতে ED-র ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়ায় মামলাতেই এই তলব। ৫ জানুয়ারি, সন্দেশখালিতে ED-র ওপর হামলার দিন ঘটনাস্থলেই ছিলেন সরবেড়িয়া-আগারহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান ও শেখ শাহজাহানের ডান হাত বলে পরিচিত জিয়াউদ্দিন মোল্লা। শেখ শাহজাহানকে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন তিনি। তৃণমূল প্রধান ওই দিন ঘটনাস্থলে কী করছিলেন, কার নির্দেশে সেখানে গিয়েছিলেন, ED-র ওপর হামলা প্রসঙ্গে তিনি কী জানেন, তা জানতে চায় সিবিআই।