প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: শিক্ষা দুর্নীতি মামলার তদন্তে ( Recruitment Scam) গতি আনতে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স তৈরি করল সিবিআই (CBI) । দেশের বিভিন্ন জোন থেকে ৭ জন অফিসারকে বেছে নিয়ে ২ মাসের জন্য কলকাতায় সিবিআইয়ের (CBI) দুর্নীতিদমন শাখায় পাঠানো হয়েছে।


জানা গিয়েছে, এদের মধ্যে রয়েছেন SP পদমর্যাদার এক অফিসার, DSP পদমর্যাদার ৩ অফিসার, ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার ২ অফিসার ও এক সাব ইন্সপেক্টর। এই অফিসারদের দিল্লি, ভোপাল, বিশাখাপত্তনম, ভুবনেশ্বর, রাঁচি ও ধানবাদ থেকে আনা হয়েছে। তদন্তে গতি আনতে স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের এই অফিসারদের সঙ্গে তদন্তকারী অফিসাররাও থাকবেন।


সিবিআই সূত্রে খবর, কয়েকদিন আগে দিল্লিতে রিপোর্ট পাঠিয়ে জানানো হয়, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে প্রতিদিন নতুন নাম উঠে আসছে। সামনে আসছে নতুন নতুন তথ্য। এই পরিস্থিতিতে কয়েকজন অফিসার নিয়ে তদন্তে গতি আনা সম্ভব নয় বলে জানানো হয়। রিপোর্ট পাওয়ার পরেই দ্রুত তৈরি করা হয় টাস্ক ফোর্স। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক হেভিওয়েটের নাম জড়িয়েছে। জেলে গিয়েছেন অনেকেই। সম্প্রতি এই ইস্যুতে বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন, 'গোটা শিক্ষ দফতর জেলে গিয়েছে।' 


সম্প্রতি ধৃত কুন্তল ঘোষকে নিয়ে বিস্ফোরক দাবি তুলেছিল ইডি। মামলার চার্জশিটে ইডি দাবি করেছিল কুন্তল ঘোষ একাই তুলেছিলেন ১০০ কোটি। নিয়োগ দুর্নীতিতে অন্যতম অভিযুক্ত কুন্তলের জীবনের শুরুটা কিন্তু অন্যরকম। একটি উড়ান সংস্থার গ্রাউন্ড ক্রিউ (Ground Crew) হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন কুন্তল। কখনও কোনও ইনস্টিটিউট খুলেছেন। কখনও আমদানি-রফতানির সংস্থা খুলেছেন। কখনও জমির দালালি করেছেন। কিন্তু রকেটগতিতে তার উত্থান নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়ানোর পরেই। এই সময়েই হু হু করে বেড়ে যায় তাঁর উপার্জন, এমনটাই দাবি ইডির।


আরও পড়ুন,'মমতার সরকার আন্দোলনকে ভয় পায়', কুড়মিদের ইস্যুতে ট্যুইট দিলীপের


তিনি কোথা থেকে কোথায় পৌঁছেছিলেন, সেই তথ্য় উঠে এসেছিল ইডি-র চার্জশিটে। সেখানে দাবি করা হয়েছিল, কুন্তল ঘোষ জানিয়েছিলেন যে তিনি একটি উড়ান সংস্থার গ্রাউন্ড ক্রিউ হিসেবে কাজ করতেন। ৩ মাস সেই কাজ করেন তিনি। কিছুদিন পর আবার আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত একটি সংস্থা খোলেন তিনি। বাংলাদেশে গম রফতানি করতো সেই সংস্থা। এর মধ্য়ে ৩২ লক্ষ টাকা খরচ করে ইন্দ্রানী দেবী নামে ইনস্টিটিউট খোলেন কুন্তল। তার সেক্রেটারি হিসেবে কুন্তলের মাইনে ছিল মাসে ৪০ হাজার টাকা। এসবের পাশাপাশি কিছুদিন জমির দালালিও করেছিলেন তিনি।