কলকাতা:  খেমাশুলিতে ৬ দিন ভোগান্তির পর উঠল অবরোধ।  যদিও গতকাল সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসব না, দাবি জানিয়েছিল আন্দোলনকারীদের একাংশ। আর কুড়মি আন্দোলন (Kurmi Agitation) ইস্যুতে মমতার সরকারের (Mamata Govt) বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে ট্যুইট বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)। 


'মমতার সরকার আন্দোলনকে ভয় পায়'






দিলীপ ঘোষ বলেন,  'এই রাজ্য সরকার আন্দোলনকে ভয় পায়। এরা কখনও আলোচনায় বসতে চায় না।  এতদিন ধরে কুড়মি আদিবাসীরা আন্দোলন করছে কিন্তু রাজ্য সরকার আলোচনায় বসছে না। দুর্ভোগে পড়ছে সাধারণ মানুষ।' প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এই ইস্যুতে নিশানা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ‘রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে'। কুড়মি আন্দোলন নিয়ে রাজ্য সরকারকে এই সুরেই নিশানা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইটে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছিলেন, 'রেল ও সড়ক অবরোধ চলছে। মনে হচ্ছে রাজ্য সরকারের উপর আর আস্থা নেই। কেন আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খোঁজা হচ্ছে না? এটা মুখ্যমন্ত্রীর প্ররোচনার ফল।'


খেমাশুলিতে ৬ দিন ভোগান্তির পর উঠল অবরোধ


যদিও গতকাল অবধি কুড়মি আন্দোলন (Kurmi Agitation) আংশিক শিথিল হয়ে গিয়েছিল। পুরুলিয়ার কুস্তাউরেও শুরু হয় রেল চলাচল। তবে এদিন সকালে শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, খেমাশুলিতে ৬ দিন ভোগান্তির পর উঠল অবরোধ।  খেমাশুলিতে অবরোধ তুলে নিতে কুড়মি সমাজের নেতৃত্বকে পুলিশের অনুরোধের পর সরকারের তরফ থেকে দেওয়া হয় চিঠি। চিঠিতে সই করা হয় তাঁদের তরফে।


ইতিমধ্যেই এসে পৌঁছেছে বিশাল পুলিশ বাহিনী


তবে লিখিতভাবে তাঁদের দাবির কথা জানিয়ে নবান্নে গিয়ে কথা বলার জন্য চিঠিতে বলা হয়েছে। পুলিশের তরফে আন্দোলনকারীদের অবরোধ তুলে নিতে অনুরোধ জানানো হয়। অবরোধ তুলে নিয়ে নবান্নে গিয়ে কথা বলার জন্য আন্দোলনকারীদের অনুরোধ করে পুলিশ। চিঠিতে কিছু ভুল আছে বলে দাবি আন্দোলনকারীদের। আন্দোলনকারীদের তরফে ভুল সংশোধনের অনুরোধ। ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যেই এসে পৌঁছেছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। তবে এরপর শেষ অবধি খেমাশুলিতে ওঠে অবরোধ।


 আরও পড়ুন, চাকা ফেটে যাত্রীবোঝাই বাসে আগুন জাতীয় সড়কে


'কুড়মি সম্প্রদায়কে তফশিলি উপজাতিভুক্তদের আওতায় আনতে হবে'


মূলত কুড়মি সম্প্রদায়কে তফশিলি উপজাতিভুক্তদের আওতায় আনতে হবে। সারনা ধর্মের স্বীকৃতি দিতে হবে। কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফশিলের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এমনই একাধিক দাবিতে রাজ্য়ের পশ্চিমাঞ্চল জুড়ে লাগাতার আন্দোলন।