কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের গ্রেফতার (Recruitment Scam)। এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির আরও এক কর্তা গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পার্থ সেনের পর কৌশিক মাজিকে গ্রেফতার করেছে এবার সিবিআই (CBI)।
২৪ ঘণ্টার মধ্যে এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির আরও এক কর্তা গ্রেফতার। নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার। অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরির জন্য তালিকা তৈরির অভিযোগ এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির বিরুদ্ধে। মূলত, দক্ষিণ কলকাতার সংস্থা এস বসু রায় অ্য়ান্ড কোম্পানি। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলাতে ইতিমধ্যেই আতসকাচের তলায় এসেছে এই সংস্থা। গত মাসে এই সংস্থার পার্টনার কৌশিক মাজিকে নিজাম প্যালেসে (Nizam Palace) জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল CBI।
CBI সূত্রে দাবি করা হয়, তাঁর থেকে মূলত যে বিষয়গুলি জানতে চাওয়া হয়েছিল, তা হল কার মাধ্যমে তাঁদের সংস্থাকে OMR শিট মূল্যায়নের বরাত দিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ? কী কী চুক্তি হয়েছিল ? প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি ও তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যর সঙ্গে কতবার বৈঠক হয়েছিল ? তিনি কী কী নির্দেশ দিতেন ? বিশেষ সুবিধা দেওয়ার জন্য, নির্দিষ্ট কোনও চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা কি পাঠানো হয়েছিল ? OMR শিট মূল্যায়নের ক্ষেত্রে কেউ কোনও প্রভাব খাটাতেন ? ফোন বা মেসেজের মাধ্যমে বিশেষ কোনও বার্তা দেওয়া হত ?
উল্লেখ্য, স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির নেপথ্যে, OMR শিটে কারচুপির অভিযোগ বারবার উঠেছে। SSC-র নিয়োগ দুর্নীতির ক্ষেত্রে যেমন নাম জড়িয়েছিল OMR শিট মূল্যায়নকারী সংস্থা নাইসা-র (NYSA)। গ্রেফতার হয়েছিলেন সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট নীলাদ্রি দাস। সম্প্রতি ওএমআর শিট বিকৃতিকাণ্ডে গ্রেফতার করে সিবিআই। আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন সিবিআইয়ের।
আরও পড়ুন, দিনভর মেঘমুক্ত আকাশ, ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই
অক্টোবার একদিকে পুজোর মাস। অপরদিকে অক্টোবারের শুরুতেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে দিল্লিতে তৃণমূলের ধর্না কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনেই অভিষেককে তলব করেছিল ইডি। যা নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। যদিও দিল্লিতে তৃণমূলের কর্মসূচির ঘোষণা হয়েছিল ঢের আগেই। তার পরেও কর্মসূচির দিনেই কেন ডাকা হয়েছিল অভিষেককে,এই প্রশ্নে ঝড় উঠেছিল। বেছে বেছে রাজনৈতিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলিতেই বার বার অভিষেককে ডেকে পাঠানোয় ফের তদন্তকারীদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক অবস্থানের অভিযোগ তুলছিল তৃণমূল।