হিন্দোল দে, কলকাতা: মদন মিত্রের (TMC MLA Madan Mitra) বাড়িতেও সিবিআই (CBI Raid In Madan Mitra Residence)। ফিরহাদ হাকিমের পর মদনের বাড়িতে অভিযান সিবিআইয়ের। ভবানীপুরে মদন মিত্রের বাড়িতে পৌঁছলেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা। কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি। 


কী জানা গেল?
গত ৭ জুন ৩ জেলার ১৪টি পুর এলাকায় অভিযান চালিয়েছেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা। পুজোর মুখে ফের সাঁড়াশি অভিযান। এদিন নিজাম প্যালেস থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি দল একদিকে চেতলায় রাজ্যের মন্ত্রী ও কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে পৌঁছে যান। অন্য একটি দল পৌঁছে যান কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক, মদন মিত্রের ভবানীপুরের বাড়িতে। এই মুহূর্তে মদন মিত্রের বাড়ির আশপাশেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া প্রহরা। বাইরে থেকে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ২ তৃণমূল নেতার বাড়িকেই কার্যত দুর্ভেদ্য দুর্গে পরিণত করা হয়। সূত্রের খবর, ২০১৭ সালে পুরসভায় গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের নির্দেশের প্রেক্ষিতেই এদিনের তল্লাশি। প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিল আর এক কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডি।


প্রেক্ষাপট...
ঠিক সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ মদন মিত্রের বাড়িতে ঢুকেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ২ জন অফিসার ছাড়াও ব্যাঙ্কের কয়েকজন অফিসারও রয়েছেন ওই দলে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদেরও নিয়ে আসা হয়। এই মুহূর্তে কামারহাটির বিধায়কের গোটা বাড়ি কার্যত নিরাপত্তার মোটা চাদরে মুড়ে ফেলেছেন সশস্ত্র জওয়ানরা। কিছু ক্ষণ আগে, কালীঘাট থানার কয়েক জন পুলিশকর্মী সেখানে ঢুকতে চেয়েছিলেন। কিন্তু জওয়ানরা তাঁদেরও আটকে দেন। প্রসঙ্গত, পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে গত ৫ অক্টোবর খাদ্যমন্ত্রী তথা মধ্যমগ্রাম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান রথীন ঘোষের বাড়িতে ১৯ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালায় ED। একাধিক পুরসভা ও পুরসভার চেয়ারম্যান, প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও পুর আধিকারিকদের বাড়ি-সহ ১৪টি জায়গায় তল্লাশি চলে। এর ঠিক ৩ দিনের মাথায় আজ
পুরমন্ত্রীর বাড়িতে পৌঁছল আরেক কেন্দ্রীয় এজেন্সি। পাশাপাশি মামলার তদন্তে মদন মিত্রর দুয়ারেও সিবিআই। আপাতত দু'জনের বাড়ির ভিতরে ঢোকা বা বেরোনোয় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মদন মিত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করা চলছে। সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে, নথিপত্রে মদনের নাম পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সেই সূত্রেই তাঁরা জানতে চান, পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে ঠিক কী ভূমিকা ছিল কামারহাটির তৃণমূল বিধায়কের।  


আরও পড়ুন:মেঘ কেটে উঠতে পারে ঝলমলে রোদ, বীরভূমে বাড়বে গরম