বোলপুর: পেশায় শিক্ষিকা। অথচ কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি! তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল আগেই।  কিন্তু এ বার অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের (Sukanya Mandal) মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে উদ্যোগী হল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI)। বুধবার ফের বোলপুরের নিচুপট্টিতে অনুব্রতর বাড়ির অভিমুখে এগোচ্ছে সিবিআই-এর একটি দল। সেখানে সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। অনুব্রতর আইনজীবী সঞ্জীব দানও পৌঁছেছেন নিচুপট্টির বাড়িতে (Bolpur)। 


অনুব্রতর বাড়িতে ফের সিবিআই! জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে মেয়েকে


বুধবার পূর্ব পল্লিতে সিবিআই-এর শিবিরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অনুব্রতর অ্যাকাউন্ট্যান্ট মণীশ কোঠারিকে। প্রায় দেড় ঘণ্টা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ডাকা হয় ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের। এর পর সেখান থেকে বেরিয়ে অনুব্রতর বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয় সিবিআই। পথে ফের গাড়ি ফিরে যায় শিবিরে। ফেলে যাওয়া কিছু নথি সংগ্রহ করে সিবিআই। তার পর ফের রওনা দেয় তাদের গাড়ি। তার আগেই অনুব্রতর বাড়ি পৌঁছে যান তাঁর আইনজীবী। 


গরুপাচার মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত। সিবিআই-এর নজরে তাঁর মেয়ে সুকন্যার নামে থাকা সম্পত্তির উপরও। সিবিআই সূত্রে দাবি, সুকন্যার নামে বোলপুরে কেনা হয়েছে জমি, চালকল-সহ একাধিক সম্পত্তি। বেনামে কোম্পানিও খোলা হয়েছে। যার শেয়ার ভ্যালু কোটি টাকা।


আরও পড়ুন: Anubrata Mandal Arrested: বাদ যায়নি রিয়েল এস্টেটও! অনুব্রত-কন্যার নামে নতুন সম্পত্তির হদিশ


সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত-কন্যার  নামে এখনও পর্যন্ত বোলপুরেই দশটি সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। এর প্রায় প্রতিটিই ২০১৪ থেকে ২০১৬-র মধ্যে কেনা হয়েছে। এ ছাড়াও, সুকন্যার নামে দ্বিতীয় কোম্পানির হদিশ মিলেছে বলে সিবিআই (CBI) সূত্রে দাবি। নীড় ডেভেলপার প্রাইভেট লিমিটেড নামে ওই রিয়েল এস্টেট কোম্পানি তৈরি হয়েছিল ২০০৬ সালে। যার শেয়ার ক্যাপিটাল ছিল দেড় কোটি টাকা। ANM অ্যাগ্রোকেম ফুড প্রাইভেট লিমিটেডের ঠিকানাতেই তৈরি হয় এই রিয়েল এস্টেট কোম্পানি।


কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ সুকন্যার নামে!


সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সংস্থার দুই ডিরেক্টর অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mandal) ও অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েন। বোলপুরের কালিকাপুরের হারাধন মণ্ডল রোডে একই ঠিকানায় কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে ভোলে ব্যোম রাইস মিলেরও। অর্থাৎ একই ঠিকানায় রয়েছে তিন-তিনটি কোম্পানি। পেশায় স্কুলশিক্ষিকা অনুব্রত-কন্যার নামে এত সম্পত্তি কীভাবে হল, সেটাই জানতে চান সিবিআই আধিকারিকরা। গরুপাচার মামলায় সিবিআইয়ের নজরে রয়েছেন অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ, বোলপুর পুরসভার কর্মী বিদ্যুৎবরণ গায়েনও।