কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে শান্তিপ্রসাদ সিন্হাকে হেফাজতে চায় সিবিআই। শান্তিপ্রসাদকে হেফাজতে চেয়ে কাল আদালতে আবেদন করবে সিবিআই। হাতে নতুন তথ্য, জেলবন্দি এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টাকে জেরা করতে চায় সিবিআই। কয়েকজনকে শান্তিপ্রসাদ সিন্হার মুখোমুখি বসিয়ে জেরার ভাবনা। 


গ্রেফতার দুই প্রাক্তন উপদেষ্টা:হাইকোর্ট নিযুক্ত বাগ কমিটির রিপোর্টে নাম ছিল তাঁদের। পার্থ-অর্পিতার গ্রেফতারির এক মাস ঘুরতে না ঘুরতেই গ্রেফতার করা হয় এসএসসির ২ প্রাক্তন উপদেষ্টাকে। সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার শান্তিপ্রসাদ সিন্হা ও অশোক সাহা। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে প্রথম গ্রেফতার SSC-র দুই প্রাক্তন উপদেষ্টা। শান্তিপ্রসাদ-অশোক সাহার বাড়িতে গিয়ে একাধিকবার সিবিআই তল্লাশি চালায়। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পরে গত ১০ অগাস্ট গ্রেফতার করা হয় শান্তিপ্রসাদ সিন্হা, অশোক সাহা। সিবিআইয়ের এফআইআরে ১ নম্বরে শান্তিপ্রসাদ সিন্হা, সিবিআইয়ের এফআইআরে ৪ নম্বরে অশোক সাহা। তদন্তে বিভ্রান্ত করার অভিযোগে গ্রেফতার এসএসসি-র ২ প্রাক্তন উপদেষ্টা। 


এদিকে ডিএলএড-এ অফলাইন ভর্তির জন্য ৪ বছরে প্রায় ২১ কোটি টাকা নিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। নিয়োগ-দুর্নীতির তদন্তে বাজেয়াপ্ত করা ৫৬ কোটি টাকার সম্পত্তির মধ্যে প্রায় ৮ কোটি মানিক ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের। আদালতে রিমান্ড লেটারে বিস্ফোরক দাবি করল ইডি।পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, এই সমস্ত সংস্থাগুলির সঙ্গে মানিক ও তাঁর ছেলের সৌভিকের যোগ রয়েছে। ED-র তরফে আদালতে জানানো হয়েছে, ডিএলএড-এ অফলাইন ভর্তির জন্য ৩ দফায় ২০১৮-২০২২, এই ৪ বছরে ২০ কোটি ৭৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নেন মানিক ভট্টাচার্য। ২০১৮ থেকে ২০২০ সালে টাকার অঙ্কটা ছিল- ৪ কোটি ৭৭ লক্ষ ৪৫ হাজার। ED-র তরফে দাবি, ৩৫৩ টি কলেজে ভর্তির জন্য় ৯ হাজার ৫৪৯ জন পড়ুয়ার থেকে টাকা নেওয়া হয়।  ২০১৯ থেকে ২১ সালে সেই অঙ্কটা বেড়ে দাঁড়ায় ৬ কোটি ৪১ লক্ষ ২০ হাজার। এক্ষেত্রে ৩২২টি কলেজে ভর্তির জন্য় ১২ হাজার ৮২৪ জন শিক্ষার্থীর থেকে টাকা নেওয়া হয় বলে দাবি।  ২০২০ থেকে ২২ সালে টাকার অঙ্কটা আরও বেড়ে যায়। ওই শিক্ষাবর্ষে মোট ৯ কোটি ৫৪ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে পড়ুয়াদের কাছ থেকে। ED-র তরফে দাবি, মোট ৩৬০ টি কলেজে ভর্তি জন্য় টাকা নেওয়া হয় ১৯ হাজার ৯১ জন পড়ুয়ার কাছ থেকে। 


আরও পড়ুন: Purba Medinipur: টিউবওয়েল খারাপ, ভ্যানে চাপিয়ে জল আনেন শিক্ষক! বেহাল স্কুল