প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: এসএসসি নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় গুগলকে চিঠি সিবিআই-এর। ২টি ওয়েবসাইট সম্পর্কিত তথ্য জানতে চেয়ে গুগলকে চিঠি।

কেন চিঠি:সিবিআইয়ের দাবি, পর্ষদের নকল ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছিল। যাঁর থেকে টাকা নেওয়া হয়েছিল তাঁদের নাম নকল ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়া হয়েছিল, দাবি সিবিআই-এর। যাঁদের থেকে টাকা নিয়েছিল, তাঁদের নাম ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়া হয়। সেই নাম দেখিয়ে আরও টাকা নিয়ে নেওয়া হয়। টাকা নেওয়া হয়ে গেলে ওই ওয়েবসাইট মুছে দেওয়া হয়। সিবিআইয়ের দাবি এমনটাই। সেই সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে চিঠি গুগলে।

পুরসভায় চাকরি দেওয়ার নামে এবার হার্ডডিস্কে ১২ কোটির হিসেব মিলল। অয়ন শীলের সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করে ইডি। সেই হার্ড ডিস্কেই একটি ফোল্ডারে ১২ কোটির হিসেব মিলেছে বলে দাবি ইডি-র। সেখানে নাম এবং টাকার অঙ্ক লেখা আছে বলে দাবি ইডি-র।  কোন পুরসভায়, কত টাকা নিয়ে কীভাবে চাকরি হয়েছে তাও লেখা আছে বলে দাবি ইডি-র। এখনও পর্যন্ত যা তথ্য মিলেছে তাতে ১২ কোটি টাকার হিসেব রয়েছে বলে দাবি ইডি-র। রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন পুরসভায় এভাবেই চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তোলা হয়েছিল বলে দাবি ইডির। জেরায় টাকা তোলা হয়েছিল বলে অয়ন শীল স্বীকার করেছেন বলেও দাবি। এই টাকা কোথায় গেছিল তারই তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ইডি-র দাবি টাকার অঙ্ক ১০০ কোটিও ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা।

কুন্তলকে নিয়েও বিস্ফোরক দাবি:একদিকে যেমন অয়ন শীল। তেমনই কুন্তল ঘোষকে নিয়েও চার্জশিটে বিস্ফোরক দাবি ইডির। মামলার চার্জশিটে ইডি দাবি করেছে কুন্তল ঘোষ একাই তুলেছিলেন ১০০ কোটি। নিয়োগ দুর্নীতিতে অন্যতম অভিযুক্ত কুন্তলের জীবনের শুরুটা কিন্তু অন্যরকম। একটি উড়ান সংস্থার গ্রাউন্ড ক্রিউ (Ground Crew) হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন কুন্তল। কখনও কোনও ইনস্টিটিউট খুলেছেন। কখনও আমদানি-রফতানির সংস্থা খুলেছেন। কখনও জমির দালালি করেছেন। কিন্তু রকেটগতিতে তার উত্থান নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়ানোর পরেই। এই সময়েই হু হু করে বেড়ে যায় তাঁর উপার্জন, এমনটাই দাবি ইডির। তিনি কোথা থেকে কোথায় পৌঁছেছিলেন, সেই তথ্য় উঠে এসেছে ইডি-র চার্জশিটে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, কুন্তল ঘোষ জানিয়েছেন যে তিনি একটি উড়ান সংস্থার গ্রাউন্ড ক্রিউ হিসেবে কাজ করতেন। ৩ মাস সেই কাজ করেন তিনি। কিছুদিন পর আবার আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত একটি সংস্থা খোলেন তিনি। বাংলাদেশে গম রফতানি করতো সেই সংস্থা। এর মধ্য়ে ৩২ লক্ষ টাকা খরচ করে ইন্দ্রানী দেবী নামে ইনস্টিটিউট খোলেন কুন্তল। তার সেক্রেটারি হিসেবে কুন্তলের মাইনে ছিল মাসে ৪০ হাজার টাকা। এসবের পাশাপাশি কিছুদিন জমির দালালিও করেন তিনি।

আরও পড়ুন: ভরা বাজারে তাড়া করে তৃণমূল নেতাকে খুন নদিয়ায় ! প্রবল চাঞ্চল্য