সন্দেশখালি : সন্দেশখালির পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে কেন্দ্র। জানালেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ এবং আদিবাসী বিষয়ক কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ভারতী পাওয়ার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, গত ১০ বছরে মোদি সরকার মহিলাদের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।


কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকার লাগাতার কথা বলছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে গত ১০ বছর ধরে মহিলা সুরক্ষা নিয়ে কাজ চলছে। পশ্চিমবঙ্গের দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। লাগাতার কথা বলছে কেন্দ্র। আমাদের দলও পৌঁছেছে।"


পাল্টা তৃণমূলের সোশাল মিডিয়া সেলের ইনচার্জ দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন, "নজর তো তারা রাখছে। নজর রাখতে পারে। অসুবিধা নেই। কিন্তু, তাদের নজরটা যেন সিলেক্টিভ হয়ে না যায়। আজ কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর মুখে শুনছি, কেন্দ্রীয় সরকার সন্দেশখালির দিকে নজর রাখছে। ভাল কথা। কিন্তু, এই কেন্দ্রীয় সরকারই কি মণিপুরের দিকে নজর রেখেছিল ? যদি না রেখে থাকে, তাহলে কেন রাখেনি ? গোটা রাজ্যটার গলির মোড়ে মোড়ে একে ৪৭-এর মতো বন্দুক নিয়ে মানুষ দাঁড়িয়েছিল। এই ঘটনাও আমরা দেখেছি। শুধু একটা কথাই বলছি, বাংলার গণতন্ত্রে যদি হাত দিতে আসেন, বাংলার গণতান্ত্রিক সিস্টেমের ওপর যদি নিজেদের জোর চাপাতে আসেন, তাহলে কিন্তু বাংলা নিজের মতো করে হিসাব বুঝে নেবে।"


সন্দেশখালিতে অবিরাম সন্ত্রাস চলছে। এবার শিশুকে মায়ের কোল থেকে ছুড়ে ফেলার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি কর্মীর পরিবার। জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের তৎপরতার পরেই এলাকায় যায় রাজ্যের কমিশন। 


সেদিনের ঘটনা নিয়ে বিজেপি কর্মীর দিদি বলেন, "রাত ৩টের সময় পুলিশ-প্রশাসন নিয়ে এসে ওরা আমরা ভাইকে খুন করার জন্য তুলতে এসেছিল। যখন ওরা দরজা-জানালা ভাঙার চেষ্টা করছিল, সেই সময় আমার ভাই ফোনে কাউকে খবর দেয়। পাড়া-পড়শির চিৎকারে আমরা বেরিয়ে এসেছিলাম। ছুটে এসে দেখি, জানালা ভাঙা হয়ে গিয়েছে। দরজার দুটো খিলও ভাঙা হয়ে গিয়েছে। ছুটে এসে শুনলাম, বাচ্চাটাকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। আমি নিজের চোখে সেটা দেখিনি। কিন্তু, বাচ্চাটা কান্নাকাটি করছিল। তার মাকে তিন-চার জন মুখ চেপে ধরে রেখেছে। এক জন বুকে লাথি মেরে বলে তোর ছেলেকে বের করে দে। আমরা পাল্টা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করি। কিন্তু, ওরা অনেকে ছিল বলে পারিনি। কিছু লোকের গায়ে ছাপা পোশাক, কারও গায়ে কালো কোট ছিল। মুখে মাস্ক পরা ছিল। আমরা চিনতে পারিনি। আমরা ঢিল, লাঠি যা ছিল তা নিয়ে তেড়ে যায়। তাদের সঙ্গে মেয়েরাও ছিল। ওদের দলে ২৫-৩০ জন ছিল। আমার ভাই বিজেপি করে বলে হামলা চালানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ভাই পলাতক। পুলিশের কাছে কী অভিযোগ জানাব পুলিশ নিজেই তো ছিল এখানে। থানার বড় বাবু নিজেও ছিলেন। আমরা দড়ি নিয়ে এসে বাঁধার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু, যখন তারা পরিচয় দিল থানার বড় বাবু বলে আমরা ছেড়ে দিই। আইনের লোকের কি আর মানহানি করতে পারি ! যিনি নিজেকে হিঙ্গলগঞ্জ থানার বড় বাবু বলে পরিচয় দিয়েছিলেন, তিনি দরজায় লাথি মেরেছিলেন বলে প্যান্ট ফেটে গিয়েছিল। সন্দেশখালি ও হিঙ্গলগঞ্জ থানার বড় বাবু ছিলেন। শিশুকে পুলিশ নিজেই ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। "