কলকাতা: কলকাতায় পা রেখেই তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) সুপ্রিমো ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশি (Bangladeshi) ও রোহিঙ্গাদের (Rohingya) জন্য পশ্চিমবঙ্গে রেড কার্পেট বিছিয়ে রেখেছেন বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। পাশাপাশি তুলনা করেছেন উত্তর কোরিয়ার স্বৈরাচারী শাসক কিম জং উনের সঙ্গে তুলনা করেছে।
বুধবার ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হওয়ার পরেই কলকাতায় এসেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা নাগরিকদের ঝাড়খণ্ডে আশ্রয় দেওয়ার জন্য কংগ্রেস ও জেএমএম জোটের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেন বিজেপি নেতারা। নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় এলে রাজ্য থেকে অবৈধ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা বিতাড়িত করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। সেই সঙ্গে ঝাড়খণ্ডে আদিবাসীদের সংখ্যা কমে যাওয়ার জন্য বাংলার সরকারকে দায়ী করেছেন বারবার।
বুধবার কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সেই প্রসঙ্গই ফের উল্লেখ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। ঝাড়খণ্ডে অবৈধ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ করানোর জন্য সরাসরি দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে। তবে তাঁরা যে ঝাড়খণ্ডের আদিবাসীদের সুরক্ষার জন্য সর্বদা প্রস্তুত রয়েছেন সেকথাও বলেছেন।
এই বিষয়ে তীব্র আক্রমণ করে তিনি বলেন, "অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করা বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের জন্য রেড কার্পেট বিছিয়ে রেখেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে প্রতিদিন বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা ঢুকছেন। কিন্তু, তাদের তাড়িয়ে দেওয়ার বদলে স্বাগত জানাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাদের আটকানোর কোনও চেষ্টা করছেন না তিনি। আসলে বাংলাকে বাংলাদেশ বানানোর জন্য সচেষ্ট হয়েছেন তিনি। রোগিঙ্গা ও বাংলাদেশিদের জন্য শুধু রেড কার্পেট বিছিয়ে অভ্যর্থনা জানিয়ে ক্ষান্ত হচ্ছেন না। রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিদের জন্য জমিও দেওয়া হয়েছে। তিনি পুরো কিম জং উনের মতো কাজ করছেন। নিজের ভোট ব্যাঙ্ক বাড়ানোর জন্য গোটা দেশকে বিপদে ফেলছেন তিনি। প্রকাশ্য জনসভা থেকে বাংলাদেশিদের এদেশে আসার জন্য সাদর আমন্ত্রণে জানাচ্ছেন। বলছেন পশ্চিমবঙ্গের দরজা এদের জন্য সবসময় খোলা রয়েছে। এই কথা বলে তিনি ভোটব্যাঙ্কের জন্য দেশের নিরাপত্তা নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন। আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো একই পথে চলেছেন ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেন। তিনিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথ অনুসরণ করছেন। কিন্তু, এবার বিজেপি সেখানে ক্ষমতায় আসার পর অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিক ও রোহিঙ্গাদের ঝাড়খণ্ড থেকে বের করে দেওয়া হবে।"
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Police News: কলকাতা ও রাজ্য পুলিশে একাধিক রদবদল, বদলে গেল গোয়েন্দা প্রধান