বনগাঁ : ভোট আসলেই এরাজ্য়ে মাথাচাড়া দেয় CAA বা নাগরিকত্ব ইস্যু। আর তা নিয়েই যত রাজনৈতিক তরজা। বনগাঁয় মতুয়াদের অনুষ্ঠানে সিএএ নিয়ে মন্তব্য করে এবার প্রতিবাদের মুখে পড়লেন শান্তনু ঠাকুর। স্থানীয়দের সঙ্গে বচসা কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের। 


এদিন তিনি দাবি করেন, ২০২৪-এর ভোটের আগে সিএএ হবেই। তাঁর এই বক্তব্যের প্রতিবাদ করলে স্থানীয়দের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন শান্তনু ঠাকুর। তিনি অভিযোগ করেন, তৃণমূলের লোকেরা তাঁকে গালিগালাজ করেছে। তৃণমূলের অবশ্য দাবি, সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করেছে, দল এর সঙ্গে জড়িত নয়।


কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর বক্তব্য, তৃণমূলের লোকজন ছিল। সিএএ নিয়ে কথা বলেছি বলে তাঁদের ভাল লাগেনি । আমার বাবা-মা তুলে গালিগালাজ করেছে। আক্রমণ করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু, আক্রমণ করে ওরা কী করবে ?


এনিয়ে স্থানীয় একজনের অভিযোগ, এখানে মন্দিরের অনুষ্ঠানে মন্দির কমিটির তরফে ঠাকুর মশাইকে নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল। উনি এসে এখানে ঠাকুরের বক্তব্য রেখে দিয়ে বাইরে গিয়ে লোকজনের সামনে রাজনৈতিক বক্তব্য শুরু করেছেন। তাই নিয়ে এখানে কিছু লোক বলেছেন, আপনি ঠাকুরবাড়ি থেকে আসছেন। অন্তত রাজনৈতিক বক্তব্যটা রাখবেন না। এর মধ্যে ওঁকে নিমন্ত্রণ করতে গিয়েছিলেন প্রমোদ মজুমদার। তাঁর মুখটা চেপে ধরে বলছেন, এ প্রমোদ নিমন্ত্রণ করছেন কী ! ঠাকুরের বংশধর হয়ে এরকম নোংরা ভাষায় কী করে বললেন ? এইটুকুই মানুষের ক্ষোভ ছিল।  


এদিকে মোদি মন্ত্রিসভার জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের কেন্দ্র বনগাঁর পাশের লোকসভায় দাঁড়িয়ে, বৃহস্পতিবার ফের CAA নিয়ে আক্রমণের রাস্তায় হাঁটেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।    


২০১৯-এর ১২ ডিসেম্বর, রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পর, CAA আইন হয়। কিন্তু, চার বছর পর এখনও তার রুল তৈরি হয়নি। যা নিয়ে বিজেপির অন্দরেও অসন্তোষের সুর শোনা গেছে। এই প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার বঙ্গ সফরে এসে, ফের CAA চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দু'দিন পর, দেগঙ্গার কর্মিসভা থেকে তার জবাব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, একটু মতুয়া ঠাকুরের বাড়িতে গিয়ে, ঘুরে এসে বলবে, ভোটটা আমাদের দাও। সারাবছর কী করেন? আর নাগরিকত্ব? আপনারা সবাই নাগরিক এদেশের, মনে রাখবেন। নাগরিক যদি না হন, আপনি রেশন পাচ্ছেন কী করে? নাগরিক যদি না হন আপনার স্বাস্থ্যসাথী পাচ্ছেন কী করে? নাগরিক যদি না হন আপনার প্যান কার্ড হচ্ছে কী করে? আপনার আধার কার্ড হচ্ছে কী করে? আপনাদের রেশন কার্ড হচ্ছে কী করে? এগুলো একটা ছলনা। আগে সিটিজেনশিপ কার্ড জেলাশাসকদের হাতে ছিল। এখন কেড়ে নিয়েছে রাজনীতি করার জন্য। সমাজে সামজে ভাগ করার জন্য।