সমীরণ পাল, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা :  প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ( PM Awas Yojna ) থেকে ১০০ দিনের কাজের পর ( 100 Days Work )  এবার মিড ডে মিলের ( Mid Day Meal )  'অনুসন্ধানে' জেলায় জেলায় ঘুরছে কেন্দ্রীয় দল। সোমবারই উত্তর থেকে দক্ষিণ, দুই ২৪ পরগনার তিন স্কুল ঘুরে দেখেন তাঁরা। তারপর মঙ্গলবারও বিভিন্ন জেলায় স্কুলগুলিতে ঘুরে দেখেন কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা। আর তাতেই সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।


 দক্ষিণ ২৪ পরগনার রসকুঞ্জ প্রাণকৃষ্ণ হাইস্কুলে গিয়ে সামনে এলএই তথ্য়। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা জানতে পারলেন, ৭ জন মিড ডে মিলের কর্মীকে ভাগ করে দেওয়া হয় ৫জনের বেতন! প্রায় ১০-১২ বছর ধরে এভাবেই কম বেতন নিয়ে কাজ করে আসছেন কর্মীরা। মিড ডে মিলের রান্নাঘর পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। প্রধান শিক্ষকের অফিসে গিয়ে কথাও বলেন তাঁরা। 

অন্যদিকে আবার, চন্দ্রকোণায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে মিড ডে মিলের খিচুড়িতে মিলল আরশোলা। এমনই অভিযোগ ধামকুড়িয়ার এক বাসিন্দার। তাঁর দাবি, বাড়িতে গিয়ে টিফিন বক্স খুলতেই দেখা যায় মিড ডে মিলের খিচুড়িতে পড়ে রয়েছে একটি আরশোলা। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় ধামকুড়িয়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। বাকি শিশুদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ওই খাবার খেতে বারণ করা হয়। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন চন্দ্রকোণা ২ নং ব্লকের জয়েন্ট বিডিও।


সোমবারই পুরমন্ত্রী ও তৃণমূল বিধায়ক  ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, ' কিছু মানুষ বাংলাকে বদনাম করার জন্য কখনও ইঁদুর, কখনও সাপ ফেলে দিয়ে ছবি তোলে, আর তাতে সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট নাচতে থাকে। যেখানে মোদি, অমিত শাহ এসে পারল না সেখানে একটা ছুঁচো সাপ এসে পারবে? ... এগুলো আশায় মরে চাষা, আশায় মরছে বিজেপি। ' 

আরও পড়ুন :


মিড ডে মিলের খিচুড়িতে মিলল আরশোলা !


পড়ুয়াদের পুষ্টি থেকে মিড ডে মিলের খাবারের মান-সহ ৩২টি দিক খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
সোমবার সকালে, প্রথমে বিকাশ ভবনে আসেন কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা। স্কুল শিক্ষা দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি মণীশ জৈন, স্কুল এডুকেশন কমিশনার শুভ্র চক্রবর্তী , মিডডে মিলের প্রজেক্ট ডিরেক্টর তপনকুমার অধিকারীর সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় দলের প্রধান অনুরাধা দত্ত বলেন, ' জয়েন্ট রিভিউ মিশন এটা কেন্দ্রীয় সরকারের রুটিন কাজ, সব রাজ্যে হয়, সেই মতো এখন পশ্চিমবঙ্গে হচ্ছে, পোর্টালে যে তথ্য আছে, সেই তথ্যই দিয়েছে, পরিসংখ্যান তো আমরা তৈরি করব। ' 

মঙ্গলবার, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা পশ্চিম মেদিনীপুর যেতে পারেন।