নয়া দিল্লি: সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনের (Central Vigilance Commission) বার্ষিক রিপোর্টে (Report) যে তথ্য প্রকাশ পেয়েছে সেখানে বলা হয়েছে ২০২২ সালে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতির অভিযোগ ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের (Home Ministry) কর্মচারীর বিরুদ্ধে। এরপরই তালিকায় রয়েছে রেলওয়ে (Indian Railway) এবং ব্যাঙ্কের (Bank) কর্মীদের বিরুদ্ধে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকেই দুর্নীতির ভুরি ভুরি অভিযোগ জমা পড়েছে। সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনের রিপোর্টেই মিলল এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। ২০২২ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ বিভিন্ন দফতরের কর্মী ও আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মোট ১ লক্ষ ১৫ হাজার ২০৩টি অভিযোগ জমা পড়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪৬ হাজার ৬৪৩টি অভিযোগ জমা পড়েছে অমিত শাহর দফতরের কর্মীদের বিরুদ্ধেই।
এরপরেই রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ রেল দফতর। গতবছর রেল কর্মী ও আধিকারিকদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ জমা পড়েছে ১০ হাজার ৫৮০টি। ৮ হাজার ১২৯টি অভিযোগ জমা পড়েছে ব্যাঙ্ক কর্মীদের বিরুদ্ধে।
সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশন (সিভিসি) অভিযোগগুলি পরীক্ষা করার জন্য চিফ ভিজিল্যান্স অফিসারদের জন্য তিন মাসের একটি সময়সীমা নির্ধারণ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক গত বছর তার কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ৪৬,৬৪৩টি অভিযোগ পেয়েছিল, ১০,৫৮০টি রেলওয়ে এবং ৮১২৯টি ব্যাঙ্কগুলি পেয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মোট অভিযোগের মধ্যে, ২৩,৯১৯টি নিষ্পত্তি করা হয়েছে এবং ২২,৭২৪টি নিষ্পত্তি করা হয়েছে। ১৯,১৯৮টি তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে মুলতুবি রয়েছে।
আরও পড়ুন, ইচ্ছাকৃত ভাবেই চাঁদের বুকে আছড়ে ফেলা হয়েছিল চন্দ্রযান, সেবার মাত্র ২৫ মিনিটেই ইতিহাস লেখে ISRO
রেলওয়েতে ৯৬৬৩টি অভিযোগ নিষ্পত্তি হয়েছে। তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে বাকি অভিযোগ পড়ে রয়েছে, এমনটাই দাবি করা হয়েছে সাম্প্রতিক রিপোর্টটিতে। অন্যদিকে, ব্যাঙ্কগুলির বিরুদ্ধে ওঠা ৭,৭৬২টি দুর্নীতির অভিযোগ নিষ্পত্তি করেছে এবং ৩৬৭টি মুলতুবি ছিল, এর মধ্যে ৭৮টি তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে নিষ্পত্তির জন্য পড়ে রয়েছে। ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটরি দিল্লি সরকারের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ৭৩৭০ টি অভিযোগ ছিল। এর মধ্যে ৬৮০৪টি নিষ্পত্তি করা হয়েছে এবং ৫৬৬টি বিচারাধীন রয়েছে। এর মধ্যে ১৮টি কেস তিন মাসের বেশি সময় ধরে পড়ে রয়েছে।